গণতন্ত্রের উপর পরিকল্পিত আক্রমণ করা হচ্ছে, দিনহাটার উত্তমকুমারকে এনআরসি নোটিস পাঠানো প্রসঙ্গে তোপ মমতার
বর্তমান | ০৮ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যে কী ঘুরপথে এনআরসি চালু করতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার! একটি পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে এমনই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীর কাছে বৈধ পরিচয়পত্র থাকলেও তাঁকে এনআরসির নোটিস পাঠিয়েছে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। যদিও তিনি দিনহাটায় বহুবছর ধরে বসবাস করছেন। ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের মতো বৈধ পরিচয় পত্র রয়েছে। তারপরেও কেন এই নোটিস? এই বিষয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি এক্স হ্যান্ডলে ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি হতবাক ও অত্যন্ত বিচলিত হয়েছি জেনে যে, কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজবংশী সম্প্রদায়ের উত্তম কুমার ব্রজবাসীকে অসমের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল, এনআরসি নোটিস জারি করেছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি এই বাংলার বাসিন্দা। তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, তাঁকে ‘বিদেশি/অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে হয়রানি করা হচ্ছে। এটি আমাদের গণতন্ত্রের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই নয়। এটিই প্রমাণ করে যে অসমে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে, যেখানে তাদের কোনও ক্ষমতা বা অধিকার নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভয় দেখানো, ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া এবং নিশানা করার একটি পূর্বপরিকল্পিত নোংরা চক্রান্ত চলছে। এই অসাংবিধানিক আগ্রাসন জনবিরোধী এবং এটি বিজেপির বিপজ্জনক ষড়যন্ত্রকে দিনের আলোর মত স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, গণতান্ত্রিক সুরক্ষাকে ধ্বংস করে বাংলার মানুষের পরিচয় মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।’কোচবিহারের তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। উত্তম ব্রজবাসীর বাড়িতে গাড়ি পাঠিয়ে বিডিও অফিসে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁকে। এরপর এসডিও অফিসেও নিয়ে যাওয়া হবে তাঁকে। উত্তমের সঙ্গে রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌধুরীরহাটে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।