• শুধু আমি না, বিজেপির সমস্ত পুরনো কর্মী শমীকবাবুর পাশে আছেন: দিলীপ ঘোষ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জুলাই ২০২৫
  • অবশেষে যবনিকা পড়ল দিলীপ ঘোষের দলবদলের জল্পনায়। সোমবার বিধাননগরে রাজ্য বিজেপির দফতরে গিয়ে সদ্য নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপবাবু বললেন, ‘শুধু আমি না, বিজেপির প্রত্যেক পুরনো কর্মী শমীকবাবুর পাশে আছি।’

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন দিলীপবাবু। এর কিছুক্ষণ পরে সেখানে পৌঁছন শমীক ভট্টাচার্য। দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের সময় কোনও মন্তব্য করেননি দিলীপ। শমীক বলেন, দিলীপবাবুর সঙ্গে কথা বলি, তার পর উনি যা বলার বলবেন।

    প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসেন দিলীপ ঘোষ। দলীয় কার্যালয়ের বাইরে দিলীপবাবু সাংবাদিকদের বলেন, আমি মাননীয় রাজ্য সভাপতি শমীকবাবুর কাছে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য সময় চেয়েছিলাম। উনি আমাকে বলেন, মঙ্গলবার ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে চলে আসুন। তাই ওনাকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছি।

    এর পর দিলীপ ঘোষ বলেন, যে কর্মসূচিতে আমার থাকার কথা সেখানে আমাকে ডাকা হয়। আমি রাজ্যের কোনও পদাধিকারী নই। ফলে আমাকে রাজ্যের সমস্ত বৈঠকে থাকতে হবে এমন কথা নেই। আমাকে দল গাড়ি দিয়েছে। সেই গাড়িতেই আমি দলের কাজ করছি। আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে, পদ দিয়েছে। এর কোনওটাই আমি চাইনি। আমি নিজের জেলা মেদিনীপুরে কাজ করছি। আমাদের জেলাই এগিয়ে আছেন। মাননীয় রাজ্য সভাপতি রাজ্য সফরে বেরোবেন। জেলায় জেলায় তাঁকে ধূমধাম করে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। আমি বলেছি সেই কর্মসূচি মেদিনীপুর থেকে শুরু করতে। আমি শমীকবাবুকে বলেছি, আপনি যা আদেশ করবেন দলের সমস্ত সাধারণ কর্মীরা লড়াই করতে রাজি আছে।

    দিলীপ ঘোষ বলেন, শমীকদা পার্টিতে আমার থেকে পুরনো। আমার আগে থেকে উনি রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি আমার থেকে সিনিয়র লিডার। তিনি বলেছেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি স্লোগান দিয়েছিলাম, উনিশে হাফ, একুশে সাফ। একুশে সাফ হয়নি। যে টুকু বেঁচে গেছে ছাব্বিশে সাফ। আমি শমীকবাবুকে বলেছি, শুধু আমি নই, বিজেপির সমস্ত পুরনো কর্মীরা আপনার সাথে আছে।

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সস্ত্রীক দিঘার জগন্নাথ ধাম কালচারাল সেন্টারে যাওয়ার পর থেকেই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বিজেপি নেতৃত্বের। সেখানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন দিলীপবাবু। তার আগে মাঝে মাঝে পরবর্তী রাজ্য সভাপতি হিসাবে তাঁর নামও শোনা যাচ্ছিল। দীর্ঘ প্রায় ২ মাস দলীয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি দিলীপ ঘোষকে। ওদিকে দিলীপ ঘোষ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়ায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেই জল্পনার আপাতত ছুটি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)