• রাতে পুকুর ভরাট উকিলপাড়ায়, বিক্ষোভ দেখালেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: দীর্ঘ বছর আগে যে পুকুরে ডুবে পাড়ার এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছিল, তার চরিত্র বদলে রাতের অন্ধকারে ডাম্পার বোঝাই মাটি ফেলা হচ্ছে। এভাবেই পুকুর ভরাট চলছে বলে অভিযোগ। আর এই অভিযোগেই সোমবার মধ্যরাতে ফের রায়গঞ্জ শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়ায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। মধ্যরাতে বিকট আওয়াজ করে পুকুর ভরাট নিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়ে একটি ডাম্পার ফিরে যায়। বাধার মুখে পড়ে রাতেই বন্ধ হয় পুকুর ভরাটের কাজ। এদিকে বাসিন্দারা পুকুর ভরাটের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন। তা নিয়ে ওই দপ্তরের তরফে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। 

    রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, এব্যাপারে পুলিসের কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করা হবে। রায়গঞ্জ মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক মহম্মদ মনিরুদ্দিন বলেন, উকিলপাড়ার যে জমি নিয়ে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে, সেই জমি ২২ বছর আগেও পুকুর ছিল বলে সরকারিভাবে রেকর্ড নেই। বাস্তু এবং ডাঙ্গা হিসেবেই ওই জমি রেকর্ড ছিল। ওই জমি বছরখানেক আগে বাস্তু থেকে কমার্শিয়াল বাস্তু হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার বিষয়টি নিয়েও সরকারিভাবে আমার কাছে কোনও তথ্য নেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফে এব্যাপারে কোনও নির্দেশিকাও আসেনি। এলে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। 

    এদিকে জমি ভরাট নিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে প্রবীণ বাসিন্দা আশিস দাস বলেন, জন্ম থেকেই আমরা এই এলাকার বাসিন্দা। যে জমি নিয়ে বিতর্ক, সেখানে বরাবর আমরা পুকুর দেখে এসেছি। এই পুকুরে দীর্ঘ বছর আগে আমার কিশোরী বোন লিপিকা দাস ডুবে মারা গিয়েছিল। এখন সেই জমির চরিত্র বদলে পুকুর ভরাট হচ্ছে। প্রায় দিনই মধ্যরাতে বালি বোঝাই ডাম্পার, জেসিবি এনে ভরাট চলছে। সোমবার রাতেও একই কাজ হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তার প্রতিবাদ করেছি।

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, যদি জমির বর্তমান মালিকের কাছে কাগজ থাকে, দিনের বেলা পুকুর ভরাটের কাজ করুন।

    জমির মালিকদের পক্ষে রাকেশ গোপের বক্তব্য, জমিটি বাস্তু হিসেবেই কিনেছি। সরকারি নথিপত্রে কোথাও পুকুর বলে উল্লেখ নেই। কিন্তু বারবার অযথা বিতর্ক তৈরি 

    করা হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)