• ডালখোলায় স্কুলের লাইব্রেরিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা, ধৃত পিওন
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ইসলামপুর: স্কুলের লাইব্রেরিতে যৌন হেনস্তার শিকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযুক্ত সেই স্কুলেরই পিওন। ডালখোলার একটি হাইস্কুলে এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার উত্তেজনা ছড়ায়। স্কুল লাগোয়া একটি গুমটি ছিল অভিযুক্তের। উত্তেজিত জনতা সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ডালখোলা দমকল কেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ ও নির্যাতিতা ছাত্রীর পরিবার ডালখোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম মণীশ অধিকারী। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ইসলামপুর পুলিস জেলার অতিরিক্ত সুপার ডেন্ডুপ শেরপা বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আমরা তদন্ত করছি। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে এমন ঘটনায় স্কুল ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাবা-মায়েরা ভীত। তাঁরা অবিলম্বে ছাত্রীদের জন্য স্কুলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত মণীশ সেই স্কুলের ক্যাজুয়াল স্টাফ। সে গেট খোলা ও বন্ধ করার কাজ করে। স্কুল লাগোয়া একটি গুমটি আছে তার। সোমবার স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির দুই ছাত্রী লাইব্রেরিতে গিয়েছিল। সেই সময় সেখানে ছিল মণীশ। এক ছাত্রীকে সে অফিস সিল আনার জন্য পাঠিয়ে দেয়। অপর ছাত্রীকে একা পেয়ে যৌন হেনস্তা করে বলে অভিযোগ।

    স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি আবুল কালাম বলেন, সোমবার এক শিক্ষিকা এই বিষয়টি প্রথমে প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলেন। তিনি আমাকে জানালে সঙ্গে সঙ্গে ওই পিওনকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ কয়েকজন মহিলা স্কুলে এলে সেখানে গিয়েছিলাম। তাঁরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা চেয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযুক্তের গুমটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন ক্ষুব্ধ মহিলারা। আমরা পুলিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ সোমবারই কেন পুলিসে অভিযোগ করেনি? সে প্রসঙ্গে কালাম বলেন, সোমবার দুপুর দু’টো নাগাদ স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল। আমরা চাইছিলাম বিষয়টি নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নিতে। ছাত্রীর মা বলেন, স্কুল শেষে মেয়ে বাড়ি ফিরে কিছু খায়নি। স্কুলের ঘটনাও কিছু বলেনি। রাতে সমস্ত ঘটনার কথা জানালে আমরা স্তম্ভিত হয়ে যাই। মেয়ে ভীষণ ভয় পেয়েছে। সারাক্ষণ কেঁদেই চলেছে। এর বিচার চাই।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান নিরালা বেগমের স্বামী আবিদ রেজা বলেন, স্কুলের বিষয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে স্কুল পরিচালনা করছে না। আমরা যৌন হেনস্তার শিকার হওয়া পরিবারের পাশে আছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)