পুজোর আমন্ত্রণ রক্ষায় মাসির বাড়ি এসে আত্মঘাতী কিশোর
বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, দিনহাটা: পুজোর আমন্ত্রণ রক্ষায় মাসির বাড়ি এসেছিল কিশোর। সেখানে এসে আবদার করে মদ্যপানের। সকলের অলক্ষ্যে মদ্যপানও করে। কিন্তু নেশা পূর্ণ না হওয়ায় আরও মদের জন্য মাসির কাছে টাকা চায়। মাসির পরিবার বাধা দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হয় সে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে সিতাই থানার কাজলিকুড়া গ্রামে। পুলিস জানিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ময়নাতন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
ওই কিশোর কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার অন্তর্গত সুকানদিঘির নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা ছিল। পুলিস ও মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পুজোর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কাজলিকুড়ায় মাসির বাড়িতে আসে ওই কিশোর। সেখানে রাতে মদ্যপান করে। তবে প্রথম দফায় নেশা সেভাবে না হওয়ায় রাত প্রায় ১২টার সময় মাসির কাছে আরও মদ কেনার জন্য টাকা চায়। কিন্তু মাসি তাতে বাধা দেন। মাসি বলেন, যতটুকু খেয়েছিস, ওটুকুই যথেষ্ট। আর খেতে হবে না। এই কথাতেই অভিমান হয় কিশোরের। তারপরই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। মাসির পরিবারের সদস্যরা জানান, খাওয়াদাওয়া সেরে রাত প্রায় দু’টো নাগাদ তাঁরা সকলে ঘুমাতে যান। ভোর চারটে নাগাদ পরিবারের এক সদস্য দেখতে পান, ভাগ্নেকে যে ঘরে থাকতে দেওয়া হয়েছিল সেটির দরজা বন্ধ। সে রাতে মদ খাওয়ায় সকলেই চিন্তায় ছিল। কিশোরকে ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে পরবর্তীতে লোকজন ডেকে দরজা ভেঙে দেখা যায় গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে। খবর পেয়ে ভোরেই ঘটনাস্থলে আসে সিতাই থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে।
এই ঘটনার ওই কিশোরের দাদু দুলাল বর্মন বলেন, নাতির এমন পরিণতি হবে ভাবতেই পারিনি। পুজো উপলক্ষ্যে বাড়িতে খুশির পরিবেশ ছিল। ছেলেটা এমন করে ফেলবে আঁচ করতে পারিনি।
সিতাই থানার আইসি দীপাঞ্জন দাস বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ