• গাড়ি বিক্রি: ধৃতদের টানা জেরা করে ১২টি চারচাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার আরও ১
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ, অসম সহ পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল ভুটানে রীতিমতো জাল বিছিয়ে গাড়ি পাচার করা হচ্ছিল। রবিবার ১৪ গাড়ি উদ্ধার করার পর সোমবার মেখলিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আরও ১০টি নামী কোম্পানির বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার করল শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিস। ঘটনায় মেখলিগঞ্জ থেকে জাকির হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন তদন্তকারীরা। মেখলিগঞ্জ থেকে উদ্ধার হওয়া গাড়ি শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে, শিলিগুড়ি থেকেও দু’টি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। 

    মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে গাড়ি ভাড়া নেওয়ার নাম করে গাড়ি পাচার চক্রের পর্দাফাঁস করেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের প্রধাননগর থানা। এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড সোমনাথ মুখোপাধ্যায়  ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে। 

    ঘটনায় তার তিন সাগরেদও রবিবার গ্রেপ্তার হয়। ধৃতদের জেরা করে আগেই নাগরাকাটা এবং শিলিগুড়ি থেকে ১৪টি গাড়ি উদ্ধার করেছিল পুলিস। এরপর ফের জেরা করা হয়। ধৃতদের কথা মতো সোমবার মেখলিগঞ্জে অভিযান চালায় পুলিস। সেখান থেকেও গাড়ি উদ্ধার হয়। 

    শুধু তাই নয়, প্রধাননগর থানার পুলিস অসম পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। অসম পুলিসের একটি দল সেখান থেকে রওনা দিয়েছে। শিলিগুড়িতে এসে ওই টিম জেরা করতে পারে ধৃতদের। প্রধাননগর থানার পুলিস নেপালের পুলিসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে। কারণ নেপালেও গাড়ি বিক্রি করা হয়েছে বলে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান। কারণ, অভিযোগ জমা পড়া কয়েকটি গাড়ির শেষ জিপিএস লোকেশন ভারত সংলগ্ন নেপালের জেলা দেখিয়েছিল।  

    প্রধাননগর থানার আইসি বাসুদেব সরকার বলেন, গাড়ি ভাড়ায় নিয়ে পরে বিক্রি করে দেওয়া চক্রের মাস্টার মাইন্ড সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম এজেন্ট ছিল জাকির হোসেন। তাকে জেরা করে মেখলিগঞ্জ ও শিলিগুড়ি থেকে ১২টি গাড়ি উদ্ধার করেছি। আমাদের এই অপারেশনের খবর পাওয়ার পর অসম, জলপাইগুড়ি, নেপাল পুলিস যোগাযোগ করেছে। ওসব জায়গায় একাধিক গাড়ি পাওয়া সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ খুলে গাড়ি ভাড়া দেওয়ার নাম করে প্রথম প্রথম মোটা কমিশন দেওয়া হতো। পরবর্তীতে সেই গাড়ির অথরাইজেশন লেটার দেখিয়ে ক্রেতাদের বিক্রি করত সোমনাথ ও তার গ্যাং। 

    এখনও পর্যন্ত জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে এই গ্যাং ১০০ টি গাড়ি বিক্রি করে কয়েক কোটি হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিসের দাবি, কোন কোন থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবটা জানা গেলে প্রকৃত প্রতারণার অঙ্ক সামনে আসবে। 
  • Link to this news (বর্তমান)