• রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা হাতাতে ভুয়ো আবেদন, ধরলেন জয়েন্ট বিডিও
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: কারও বিয়ে হয়েছে দু’বছর আগে। কেউ আবার এক সন্তানের মা। রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা হাতাতে ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানিয়ে তারা আবেদন করেছিল। তদন্তে গিয়ে জালিয়াতি হাতেনাতে ধরলেন হরিশ্চন্দ্রপুর-২ জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদি লামা। মঙ্গলবার দুপুরে ভালুকা অঞ্চলের জগন্নাথপুর ও হাতিচাপা গ্রামে রূপশ্রী প্রকল্পের ১৩টি আবেদনপত্র হাতে নিয়ে তদন্তে যান জয়েন্ট বিডিও। সঙ্গে ছিলেন ব্লক ওয়েলফেয়ার অফিসার বাসুদেব পাল এবং রূপশ্রী প্রকল্পের ডিইও অষ্টমী ঘোষ।

    রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদনগুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা খতিয়ে দেখেন। আর এই খতিয়ে দেখতে গিয়ে জগন্নাথপুর গ্রামে দু’জন এবং হাতিচাপা গ্রামে একজন ভুয়ো আবেদনকারীকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। অভিযুক্তরা ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকদের জিজ্ঞাসা করতেই সত্যতা বেরিয়ে আসে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারও ছ’মাস আগে, আবার কারও দু’বছর আগে বিয়ে হয়েছে। কারও আবার সন্তান রয়েছে। কিন্তু রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্য তারা ভুয়ো বিয়ের কার্ড বানিয়ে বিডিও অফিসে আবেদন করেছিল। যদিও অভিযুক্তদের বাবা মায়ের সাফাই, তাঁদের মেয়েরা শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে আবেদন করেছিল। এবিষয়ে তাঁরা কিছুই জানেন না।

    হরিশ্চন্দ্রপুর-২ জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াংদি লামা বলেন, ব্লকে জমা পড়া কিছু নথি দেখে আমার সন্দেহ হয়। তারপর ভালো করে খতিয়ে দেখতেই সবটা স্পষ্ট হয়ে গেল। তদন্তে গিয়ে ১৩টি আবেদনের মধ্যে তিনটি ভুয়ো আবেদন ধরা পড়েছে। সেগুলি বাতিল করা হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
  • Link to this news (বর্তমান)