স্কুলের পথে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত টোটোচালককে মারধর
বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কালিয়াচক: পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া ও আসার পথে শ্লীলতাহানির অভিযোগ টোটোচালকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই টোটোচালককে বেধড়ক মার ছাত্রীর পরিবারসহ স্থানীয়দের। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার কালিয়াচকের কড়ারি চাঁদপুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে পুলিস ওই অভিযুক্ত টোটোচালককে উদ্ধার করতে গেলে চড়াও হয় ক্ষিপ্ত জনতা। রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিস ও স্থানীয়দের মধ্যে। এরপর ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিসের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরে অভিযুক্ত টোটোচালক পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে স্কুলে নিয়ে যেত ও নিয়ে আসত। কিন্তু অন্যরা না থাকার সুযোগে ফাঁকা রাস্তায় সে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করত বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালে ওই টোটোচালক ছাত্রীকে স্কুলে নিয়ে যেতে আসে। কিন্তু ছাত্রী টোটোচালককে দেখেই স্কুলে যাবে না বলে জানায়। বাড়ির লোকজন তাকে বকাঝকা করতেই সে টোটোচালকের কুকর্মের কথা পরিবারের লোকেদের জানায়। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে টোটোচালককে মারধর করতে শুরু করেন। এর মধ্যে ভিলেজ পুলিস থানায় ফোন করে বিষয়টি জানালে বাহিনী এলাকায় পৌঁছয়। ছাত্রীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, স্কুল থেকে আসার পরেই সে মনমরা হয়ে থাকত। কারণ ওই টোটোচালক শ্লীলতাহানি করার পর তাকে ভয় দেখিয়েছিল যাতে বিষয়টি বাড়িতে না জানায়। সেটা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। কিন্তু এদিন সকালে টোটোচালক আসতেই সব প্রকাশ্যে আসে। আমরা তাকে আটকে রাখি। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। তবে একটু ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিসের সঙ্গে সামান্য ধস্তাধস্তি হয়েছে নাবালিকার পরিবারের। এক সিভিক ভলান্টিয়ার ও এক অফিসার জখম হয়েছেন। কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।