সংবাদদাতা, কালনা: ঝাড়ফুঁক করে রোগ সারানোর নামে কালনায় পরিবারের সদস্যদের ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে বাড়িতে লুটের ঘটনায় এক মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। ধৃতের নাম ঝর্ণা দাস। তার বাড়ি কল্যাণীর ঘোষপাড়ায়। ধৃতকে মঙ্গলবার কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে পুলিস টিআই প্যারেডের আবেদন জানাবে। পরিবারের দাবি, ঝর্ণা তাঁদের বেহুঁশ করে নগদ টাকা সহ বেশ কিছু সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, কালনা থানার নন্দগ্রাম এলাকার বৃদ্ধা অঞ্জলি দেবনাথ তাঁর নাবালিকা নাতনিকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। তিনি নিজে শারীরিকভাবে অসুস্থ। ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। রবিবার সন্ধ্যায় কালনা নিউমধুবন এলাকার এক বাসিন্দা রানি প্রামাণিক ঝর্ণাকে সঙ্গে নিয়ে অঞ্জলিদেবীর বাড়িতে হাজির হন। ঝর্ণা ঝাড়ফুঁক করে রোগ সারাতে পারে বলে দাবি করে। অঞ্জলিদেবী তাদের কথায় বিশ্বাস করে ওষুধ দিতে বলেন। ওই অপরিচিত ঝর্ণা গাছের পাতার সঙ্গে হলুদ রঙের কিছু দিয়ে ওষুধ তৈরি করে। সে বলে, এই ওষুধে সব রোগ সেরে যায়। সে অঞ্জলিদেবী, তার নাতনি ও রানিদেবীকে ওই ওষুধ খেতে দেয়। সেই ওষুধ খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরদিন সোমবার বিকেল হলেও প্রতিবেশীরা দেখেন, অঞ্জলিদেবীর বাড়ি থেকে কোনও আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁরা বাড়িতে ঢুকে দেখেন, তিনজন ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরের আলমারি ভাঙা। সব কিছু লণ্ডভণ্ড। পুলিস এসে তিনজনকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করে। রানিদেবীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কালনা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান হাসপাতালে রেফার করা হয়।