• ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত স্কুলের কর্মী
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় মঙ্গলবার নলহাটির কয়থা হাইস্কুলে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। অভিভাবকদের একাংশ স্কুলে ঢুকে বিক্ষোভের পাশাপাশি ওই কর্মীকে ধরে উত্তমমধ্যম দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিস এসে উত্তেজিত অভিভাবকদের হাত থেকে ওই কর্মীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।

    পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো এদিনও স্কুলে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সে স্কুল থেকে ইউনিফর্ম পেলেও ওড়না পায়নি। অভিযোগ, ওড়না দেওয়ার নামে ছাত্রীকে পোশাক রাখার ঘরে নিয়ে যায় ওই কর্মী। সেখানে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে মহম্মদ মিনাজউদ্দিন নামে ওই কর্মী। ছাত্রীটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে পুরো ঘটনা মা-বাবার কাছে খুলে বলে। প্রতিবেশীদেরও জানায়। ঘটনার কথা শোনামাত্রই ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দারা। একজোট হয়ে স্কুলে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উত্তেজিত কয়েকজন ওই কর্মীকে মারধর শুরু করে। যার জেরে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীকে উদ্ধার করতে গিয়েও ব্যর্থ হয়। ভিড় সামাল দিতে না পেরে এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের খবর দেওয়া হয়। তাঁরাই এসে কোনওরকমে ওই কর্মীকে একটি ঘরে ভরে দরজা লাগিয়ে দেন। পরে নলহাটি থানার পুলিস এসে ওই কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। অভিযুক্তের কড়া শাস্তিরও দাবি তোলেন অভিভাবকরা। তাঁরা বলেন, স্কুল ‌‌‌পড়ুয়াদের কাছে নিরাপদ জায়গা। সেখানে এই ধরনের ঘটনা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।  

    স্কুলের শিক্ষক মহম্মদ হাসানূর জামান বলেন, স্কুল শুরুর আগে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে সত্য, মিথ্যা কী, সেটা জানি না। স্কুল শুরু হওয়ার পর একদল লোক এসে ওই কর্মীর খোঁজ শুরু করে। এরপর সরাসরি তার উপর চড়াও হয়। তিনি বলেন, কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় চতুর্থ শ্রেণির ওই কর্মীই ‌‌পড়ুয়াদের পোশাকের বিষয়টি দেখে। অভিভাবকরা অভিযোগ করছেন, সেই পোশাক দেওয়ার সময় ছাত্রীর গায়ে হাত দেয় ওই কর্মী। 

    প্রধান শিক্ষক মহম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শরীর অসুস্থ থাকায় আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি জানার পর ওই কর্মীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সে বলেছে, গেটে ঢোকার সময় হয়তো কোনওভাবে ওই ছাত্রীর শরীর স্পর্শ হয়েছে। তবে এর আগেও স্কুলের বাইরে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে এইরকমই অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে ওই কর্মী ক্যান্সার আক্রান্ত। এদিনের ঘটনা এসআইকে জানানো হয়েছে। 

    নলহাটি থানায় এসে ওই কর্মীর নামে অভিযোগ জানান ছাত্রীর বাবা। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কিছু বলার মতো মানসিক অবস্থা আমার নেই। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তি চাই।
  • Link to this news (বর্তমান)