• বৃষ্টিতে ফুঁসছে শীলাবতী, ছুটি বাতিল জেলার সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের
    বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ফের টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে শীলাবতী নদী। মঙ্গলবার এনিয়ে জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠকে বসল। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকায় ব্লক ও জেলার আধিকারিকদের পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। শীলাবতীর জল বাড়তে থাকায় মেদিনীপুর মহকুমার গড়বেতা ১ ও ২ ব্লকের প্রায় সাতটি পঞ্চায়েত ফের জলমগ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ঘাটাল মহকুমার একাধিক এলাকাও জলের তলায় চলে যেতে পারে। আগামী ১২ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ১২ ঘণ্টায় নদীর জল তাড়াতাড়ি বাড়লে একাধিক গ্রাম ভেসে যেতে পারে। সেজন্য নানা গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বিভিন্ন ব্লকে আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী পাঠানো হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ব্লকস্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে। মানুষের যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য বিপুল পরিমাণে ত্রাণ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ঘণ্টায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে জেলা প্রশাসন সবদিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে।

    জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি বলেন, বৃষ্টি থামার কোনও নামগন্ধ নেই। মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করছি। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। টানা বৃষ্টির জেরে গড়বেতা ১ ও ২ ব্লক এবং ঘাটাল মহকুমার নানা এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩০০কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তিনহাজারের বেশি মাটির বাড়ি, কয়েকহাজার হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়। তাই ফের বৃষ্টি হতেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, রাতের দিকে জল বাড়ছে। বহু এলাকায় ছোট নৌকা চলে। নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করতে হচ্ছে। ফের হড়পা বান এলে সমস্যা আরও বাড়বে। বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় অনেকেই জমিতে চাষ শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন। গড়বেতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীনবন্ধু দে বলেন, প্রশাসন সজাগ রয়েছে। ব্লক স্তরেও দফায় দফায় আলোচনা করা হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে আর সমস্যা হবে না। কিন্তু বৃষ্টি বন্ধ হচ্ছে না।
  • Link to this news (বর্তমান)