পোস্ট অফিসের স্কিম কাণ্ড সহ পৃথক প্রতারণার ঘটনায় ধৃত ৪
বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: প্রায় ১৩ বছর আগে পরিচিত এজেন্টের মাধ্যমে পোস্ট অফিসের বিভিন্ন স্কিমে ১৫ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সল্টলেকের এক বাসিন্দা। ওই এজেন্ট তাঁকে বিনিয়োগ করা অর্থের সার্টিফিকেটও দিয়েছিলেন। কিন্তু, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২৫ সালে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন, এক যুগ আগে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ওই এজেন্ট যে সার্টিফিকেট দিয়েছিল, তা ভুয়ো। কোনও স্কিমে তাঁর টাকা জমা পড়েনি! প্রতারিত ব্যক্তি বিধাননগর উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। মঙ্গলবার সল্টলেকের এফডি ব্লক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম দীপক চৌধুরী। সে আরও মানুষের সঙ্গে এই ধরনের প্রতারণা করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বিমানবন্দর থানার পুলিস। কল্যাণী থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুধাংশু সাহা। নৈহাটির বিজয়নগরে তার বাড়ি। গত ডিসেম্বর মাসে এক ব্যক্তি গুগল থেকে ওয়ালেট অ্যাকাউন্টের কাস্টমার কেয়ারের নম্বর সার্চ করেছিলেন। প্রতারকরা সেখানে নিজেদের নম্বর দিয়ে রেখেছিল। কাস্টমার কেয়ারের প্রতিনিধি সেজে প্রতারক ওই ব্যক্তিকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে। অ্যাপ ডাউনলোড করে ইনস্টল করার পর ওই ব্যক্তিকে এক টাকা পেমেন্ট করতে বলা হয়। তারপরই ৪ লক্ষ ৯৮ হাজার ৪৯৯ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছিল।
ফুড ডেলিভারি সংস্থার কাস্টমার কেয়ার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল বিধাননগর দক্ষিণ থানা। পুনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম প্রদীপ দত্ত রায় চাভেন। সল্টলেকের এক বাসিন্দা একটি ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকে খাবার অর্ডার করেছিলেন। তারপরই তিনি কাস্টমার কেয়ারের একটি ফোন পায়। প্রতারকরা প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে তাঁকে ফোন করে। ব্যাঙ্কের তথ্য শেয়ার করায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল। অন্যদিকে, এটিএম কার্ড বদল করে ৪০ হাজার টাকা হাতানোর অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণপুর থানা। পুলিস জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুব্রত গিরি। এটিএমে দাঁড়িয়ে সে এক ব্যক্তি কার্ড বদল করে তাঁর টাকা তুলে নিয়েছিলেন।