ভাঁওতা দিয়ে সোনার গয়না নিয়ে চম্পট, নামখানায় সচেতনতা প্রচার পুলিসের
বর্তমান | ০৯ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: গ্রামবাসীকে ঠকিয়ে সোনার গয়না চুরি হল নামখানায়। বাড়ির ভিতরে ঢুকে চালাকি করে অচেনা ব্যক্তিরা সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিচ্ছে বলে অভিযোগ। এক সপ্তাহের মধ্যে এমন দু’টি ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে নামখানা থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। তবে দুটি চুরির ক্ষেত্রে ‘মোডাস অপারেন্ডি’ বা পদ্ধতির পার্থক্য রয়েছে। এই বিষয়ে এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু করল পুলিস।
তিনদিন আগে নামখানার দুর্গাপুরে এক অচেনা ব্যক্তি এসেছিলেন। তিনি বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে পীরবাবার ওষুধ দিয়ে রোগ সারিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এক বৃদ্ধাকেও তিনি এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর তিনি একটি ঘটিতে বৃদ্ধার সব সোনার গয়না রাখতে বলেন। মন্ত্র পড়ে বৃদ্ধাকে পীরবাবার ওষুধ দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি চলে যাওয়ার পর ঘটি খুলে দেখা যায় একটিও সোনার গয়না নেই। তৎক্ষণাৎ ওই বৃদ্ধা নামখানা থানার দ্বারস্থ হন। পরে পুলিস তদন্তে নেমে মেদিনীপুর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে।
এই ঘটনার দু’দিন পর পাতিবুনিয়াতে এমন আরও একটি ঘটনা ঘটে। তবে এখানে সোনার গয়না নেওয়ার পদ্ধতির পার্থক্য ছিল। এখানকার একটি বাড়িতে ঢুকে এক অচেনা ব্যক্তি সব কাঁসার জিনিসপত্র কেমিক্যাল দিয়ে ঝকঝকে করে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। ওই বাড়ির বধূ কাঁসার বাসনপত্র দিলে সেগুলি ঝকঝকে করে দেন তিনি। এরপরই ওই মহিলাকে সোনার গয়না ঝকঝকে করে দেওয়ার প্রলোভনও দেখানো হয়। তখন তিনি প্রথমে সোনার গয়নাও ওই ব্যক্তিকে দেন। কিন্তু পরে খটকা লাগায় তিনি আবার সব সোনার গয়না ফিরিয়ে নেন। এক্ষেত্রে ওই অচেনা ব্যক্তি সোনার গয়না নিতে পারেননি। তবে দুটি ভিন্ন ঘটনা সামনে আসার পরই পুলিস নড়েচড়ে বসে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এলাকাবাসীকে সচেতন করার জন্য পুলিসের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু হয়েছে।