নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: মে মাসে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় সিংহভাগ উপভোক্তাই লিনটেন ঢালাই করে ফেলেছেন। এখনও এই কাজ বাকি আছে প্রায় পাঁচ হাজার উপভোক্তার। লিনটেন পর্যন্ত কাজ শেষ হওয়ার পরও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাননি ৩৫৮ জন। মূলত, কিছু উপভোক্তা গাফিলতি করেই কাজ শুরু করছেন না বলে জানতে পারছে পঞ্চায়েত দপ্তর। তাঁদের বাড়ি গিয়ে দ্রুত লিনটেন পর্যন্ত কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহেই বকেয়া টাকা ছেড়ে দেওয়া যাবে বলেই আশাবাদী প্রশাসন। সেই সঙ্গে যাঁরা দ্বিতীয় দফার টাকা পেয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত কাজ সেরে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। প্রত্যেক উপভোক্তাকে সরকারি ফলক দেওয়ার কথা বলেছে ব্লক প্রশাসন।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা খাতে বাংলাকে দীর্ঘদিন কোনও টাকা দেয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। তাই গ্রামের গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদ নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারই প্রত্যেক উপভোক্তাকে ১ লক্ষ ২০ হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৮১,৯৯৪ জন উপভোক্তা রয়েছেন এই প্রকল্পের আওতায়। সরকারের ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর’ অনুযায়ী, লিনটেন পর্যন্ত কাজ হলে তবেই মিলবে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা। তাই কতটা কাজ হয়েছে, তা জানতে সার্ভে হয়। দপ্তর সূত্রে খবর, শেষ সার্ভেতে দেখা গিয়েছে ৭৭,১৪৭ জন উপভোক্তার বাড়ি তৈরি হয়েছে লিনটেন পর্যন্ত। তার মধ্যে ৭৬,৭৮৯ জন পেয়ে গিয়েছেন দ্বিতীয় দফার ৬০ হাজার টাকা। কাজের গতি কম রয়েছে সন্দেশখালির দু’টি ব্লক, মিনাখাঁ, বাগদা ব্লকে। কাজের গতি ভালো হাসনাবাদ, হাবড়া, বারাকপুর ২ ও বারাসত ১ নম্বর ব্লকে। এছাড়া, বাকি প্রায় ৫ হাজার উপভোক্তা এখনও লিনটেন পর্যন্ত কাজ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তাঁরা বাড়ির কাজে হাত না দিলে কড়া প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের মুখে পড়তে পারেন।
‘বাংলার বাড়ি’ তৈরির কাজ শেষ হলে দেওয়ালে প্রকল্পের লোগো আঁকা হবে। গোলাকৃতি সেই লোগোয় বড় বড় করে লেখা থাকবে ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সম্পূর্ণ নিখরচায় বাংলার বাড়ি গ্রামীণ’। নীচে লেখা থাকবে উপভোক্তার নাম ও আইডি নম্বর।