• উন্নততর পরিষেবায় ট্রেনকে টক্কর দূরপাল্লার বাসের
    এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • এই সময়: সন্ধে হলেই এসপ্ল্যানেড এবং করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডে সক্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করে ঝকঝকে বাসগুলো। তবে ছোট ছোট বুকিং অফিসগুলোতে ভিড় লেগে থাকে দি‍নভরই। শেষ মুহূর্তে জরুরি কাজে উত্তরবঙ্গ, ওডিশা, ঝাড়খণ্ড বা বিহার যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে? ট্রেনের টিকিট নেই অথচ যাওয়াটা জরুরি? এমন অবস্থায় ক্রমশই মুশকিল আসান হয়ে উঠছে বেসরকারি ইন্টার–স্টেট বাস পরিষেবা।

    দিনের সব কাজ শেষ করে সন্ধেয় বাসস্ট্যান্ডে এসে নিশ্চিন্তে উঠে পড়ুন বাতানুকূল বাসে। আরামদায়ক সিটে বসে অথবা স্লিপার বাসে টিকিট কাটলে নিশ্চিন্তে এক ঘুমে রাত কাবার হয়ে যাবে। সকালে উঠে দেখবেন গন্তব্যে পৌঁছে গিয়েছেন। এসি সিটার বা এসি স্লিপার ভলভো বাসগুলোর কলকাতা ছাড়ার সময় এমনই রাখা হয়েছে যাতে রাতটা বাসজার্নিতে কেটে যায় আর সকালে গ‍ন্তব্যে পৌঁছে যান যাত্রী।

    কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমানের মতো রাজ্যের মধ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহর ছাড়াও ভুবনেশ্বর, রাঁচি, পাটনা, জামশেদপুরে প্রতিদিন এ ভাবেই কলকাতা থেকে বহু যাত্রী বাসে যাতায়াত করছেন।

    ইন্টার–স্টেট বেসরকারি বাস পরিষেবা সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, কলকাতার সঙ্গে রাঁচি, পাটনা, ভুবনেশ্বর, জামশেদপুর ও শিলিগুড়ির মধ্যে যথাক্রমে ১০, ৭, ২২, ৫ ও ৩৫টি বেসরকারি এসি বাস চলে। টিকিটের দাম ৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে।

    ইন্টার–স্টেট বাস পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর হিসেব, প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন হাজার যাত্রী কলকাতা থেকে বাসে দূরপাল্লার যাত্রা করেন। যাত্রীদের ভরসার সঙ্গে পাল্লা গিয়ে দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে বেসরকারি বাসের সংখ্যাও বাড়ছে।

    এমনই এক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা শ্যামলী পরিবহণ–এর কর্ণধার অরুণ ঘোষ বলেন, ‘দূরপাল্লার বাসে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যই শেষ কথা। বাসের রক্ষণাবেক্ষণেই তাই সবচেয়ে জোর দেওয়া হয়।’ কাজের জন্যে প্রতি সপ্তাহেই উত্তরবঙ্গ যেতে হয় বাগবাজারের শুভেন্দু হালদারকে। তিনি বলেন, ‘শিয়ালদহ–এনজেপি রুটে সারা বছরই ট্রেনে ভিড় লেগে থাকে। টিকিট পাওয়া মানে লটারি লাগা। আমি তাই বাসেই যাই, স্বাচ্ছন্দ্যও প্রশ্নাতীত।’

  • Link to this news (এই সময়)