• বামেদের ডাকা বন্‌ধে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ ও রেল অবরোধ
    প্রতিদিন | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বামেদের ধর্মঘট ঘিরে বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গেল সকাল থেকেই। এদিন বন্‌ধের সমর্থনে পথে নেমে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা অস্থির পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেন। বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়। শিয়ালদহ মেন লাইনে বেলঘরিয়া, বারাকপুর-সহ একাধিক জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়। সাতসকালেই রেল অবরোধে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা। একাধিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে বচসা হয় বন্‌ধ সমর্থনকারীদের। হাওড়ার ডোমজুড়ে বন্‌ধ সমর্থনকারীদের হটাতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয় বলে খবর।

    নয়া শ্রমিক আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে ১০ শ্রমিক সংগঠন এদিন ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক দিয়েছে। বাংলাতেও বনধের সমর্থনে বাম কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় নেমে পড়েন। বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা শুরু হয়। উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়া, বারাকপুর, শ্যামনগর স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করেন বন্‌ধ সমর্থনকারীরা। সাতসকালে অবরোধে বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক ট্রেন। ফলে সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রী থেকে অফিসযাত্রীরা। নিম্নচাপের বৃষ্টির পাশাপাশি রেল অবরোধে নাকাল হন যাত্রীরা। পরে অবরোধ উঠিয়ে দেওয়া হয়। শিয়ালদহের দক্ষিণ শাখাতেও একাধিক জায়গায় ট্রেন অবরোধের চেষ্টা হয়। যাদবপুর স্টেশনে অবরোধ করা হয়। তবে রেলপুলিশ বন্‌ধ সমর্থনকারীদের হটিয়ে দেয়।

    হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হলদিয়া, আসানসোল, দুর্গাপুর-সহ একাধিক জায়গায় বন্‌ধ সমর্থনকারীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। কোনও অশান্তি যাতে না হয় সেজন্য প্রচুর সংখ্যায় পুলিশও মোতায়েন রাস্তায়। বিক্ষোভকারীরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করতেই তাঁদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। হাওড়ার ডোমজুড়ে বন্‌ধ সমর্থনকারীরা পথ অবরোধ করেছিলেন। পুলিশ তাঁদের সরাতে গেলে শুরু হয় অশান্তি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় পুলিশ কর্মীদের। বন্‌ধ সমর্থনকারীদের সরাতে লাঠিচার্জ করতে হত পুলিশকে। হলদিয়াতেও বন্‌ধ সমর্থনকারীদের সরাতে পুলিশকে তেড়ে যেতে হয়েছিল।

    আসানসোলে বনধ ঘিরে উত্তেজনা দেখা যায়। বন্‌ধের সমর্থনে বাম সংগঠনের মিছিল। অন্যদিকে বন্‌ধের বিরোধিতায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পাল্টা মিছিল।এদিন বাম সংগঠনের নেতৃত্বরা গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করলে পাল্টা প্রতিবাদ জানান তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির নেতৃত্বরা।দুই পক্ষের তীব্র বচসার ঘটনায় উত্তেজনা। ধর্মঘটিরা গাড়ি আটকাতে রাস্তায় শুয়ে পড়েন। ট্রাক্টরের নিচে শুয়ে পড়লে এক ধৰ্মঘটি আহত হন। তাঁর উপর দিয়ে ট্রাক্টরের চাকা চলে যায়। আহতকে জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। উত্তরবঙ্গেও বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছিলেন সমর্থকরা। তবে তেমন কোনও প্রভাব উত্তরের জেলাগুলিতে দেখা যায়নি বলেই খবর। রেল ও বাস চলাচল মোটের উপর স্বাভাবিকই থাকে।

    পুরুলিয়ায় বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়েনি বলেই খবর। সকাল থেকেই দোকানপাট প্রায় সব খোলা রয়েছে। সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক আছে জেলায়। বৃষ্টি মাথায় করে সাধারণ মানুষ, নিত্যযাত্রীরা রাস্তায় নেমেছেন। আইনশৃঙ্খলার যাতে কোথাও কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য জেলাজুড়ে রাস্তায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)