• ‘ভাইপো গ্যাং’-এর দাপট, ছবি নিয়ে সরব বিরোধী নেতা
    আনন্দবাজার | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে গণধর্ষণ-কাণ্ড সামনে আসার পরে থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বর্তমান ও প্রাক্তন নেতাদের ‘দাদাগিরি’র অভিযোগে সরব বিরোধীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গণধর্ষণ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের ছবি ‘পোস্ট’ করে ‘ভাইপো গ্যাং’য়ের কথা বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ বার সেই ‘গ্যাং’য়ের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে ৫০ জনের ছবি, নাম-পরিচয় সামনে এনে সরব হলেন শুভেন্দু। এর আগে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও বিভিন্ন কলেজে ‘প্রভাবশালী দাদা’ হিসেবে দাবি করে কয়েক জন তৃণমূল নেতার কথা বলেছিল। পুরো বিষয়টিকেই কুৎসা-প্রচার বলে পাল্টা দাবি করেছে শাসক দল।

    বিরোধী দলনেতা মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ জন টিএমসিপি নেতার ছবি সামনে এনেছেন। এমন ৯৫০ জনের নাম-পরিচয় তিনি সামনে আনতে পারেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। এই সূত্রেই তাঁর অভিযোগ, “এই সব ছাত্রেরা ভাইপোর হয়ে টাকা তোলার কাজ করেন। প্রত্যেক কলেজে একটা করে মনোজিৎ আছেন। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষা তলানিতে। প্রশাসন সব জেনেও চুপ। কারণ, এঁরা সকলেই ‘ভাইপোর’ লোক।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “যে ৫০ জনের তালিকা দিলাম, তাঁরা প্রত্যেকেই অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন। প্রথমে অস্থায়ী, তার পরে স্থায়ী চাকরি হয়ে যায়।” প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এই ভাবে বেশ কয়েক জন কলেজ-শিক্ষককেও চাকরি দিয়েছেন বলে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ। সেই তালিকাও তিনি সামনে আনবেন বলে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর।

    পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘কেউ কোনও খারাপ কাজ করলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য। ক্যাম্পাসে ওঁদের সঙ্গে লোক নেই বলেই হতাশা থেকে কুৎসা করতে নেমেছেন।’’পাশাপাশিই, প্রাক্তনীদের ছাত্র-রাজনীতির অধিকার প্রসঙ্গে সওয়াল করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘পড়া শেষ হলেই ছাত্র-রাজনীতি থেকে বিদায় নিতে হবে, এমন কোনও আইন নেই। দীর্ঘ দিন যে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলতে হবে কেন?” বিরোধী দলনেতাকে বিঁধে সিপিএমের কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘ভাইপো গ্যাং’ নয়, সবটাই ‘মমতা গ্যাং’। এই ‘গ্যাং’-এ আপনিও এক সময়ে ছিলেন!’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)