আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় তাঁদের রাস্তায় নেমে ডিউটি করতে হয়। অনেক সময়ে উত্তেজিত জনতা বা বিক্ষোভকারীদের সামলানোও তাঁদের কাজের মধ্যে পড়ে। নিজেদের সুরক্ষিত রেখেই সব কিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে সামলাতে হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বা বিক্ষোভকারীদের সামলাতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে খোদ পুলিশকেই। তাই উত্তেজিত জনতা বা বিক্ষোভকারীদের কী ভাবে সামলানো যায়, তা শেখাতে কলকাতা পুলিশের সেন্ট্রাল ডিভিশনের থানার আধিকারিকদের দেওয়া হচ্ছে তিন দিনের বিশেষ প্রশিক্ষণ। দিনে প্রায় চার ঘণ্টা ধরে ওই প্রশিক্ষণ-পর্ব চলছে। যার মধ্যে যোগব্যায়াম থেকে শুরু করে শারীরিক কসরত যেমন রয়েছে, তেমনই পুঁথিগত পাঠও দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাণঘাতী নয়, এমন অস্ত্র ব্যবহার করে উত্তেজিত জনতাকে কী ভাবে সামলানো যায়, তার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। শুধু থানার আধিকারিকদেরই নয়, সেন্ট্রাল ডিভিশনের সহকারী নগরপালদেরও উপস্থিত থাকতে হচ্ছে প্রশিক্ষণে। পুলিশের একাংশ জানিয়েছে, এই প্রশিক্ষণে শারীরিক দিক থেকে তাঁরা লাভবান হবেন। পুলিশকর্মীরা মানসিক নানা চাপের মধ্যে থাকেন। ওই প্রশিক্ষণ তাঁদের মানসিক দিক থেকেও শক্তিশালী হতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও, কী ভাবে কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়, সেই প্রশিক্ষণ পেয়ে আধিকারিকেরা উপকৃত হবেন বলেই বাহিনীর ওই অংশ জানিয়েছে। লালবাজারের একটি সূত্রের দাবি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হলে যাতে আরও ভাল ভাবে পুলিশকর্মীরা নিজেদের কর্তব্য পালন করতে পারেন, সে জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলকাতা পুলিশের ট্রেনিং স্কুলে সোমবার থেকে শুরু হওয়া ওই প্রশিক্ষণ-পর্ব চলবে আগামী ২৬ জুলাই পর্যন্ত। প্রাথমিক ভাবে সেন্ট্রাল ডিভিশনের আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত চারটি দলকে প্রথম দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ঠিক হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বা উত্তেজিত হিংসাত্মক জনতাকে কী ভাবে সামলাতে হবে, সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ বিভিন্ন সময়েই থানার পুলিশকর্মীদের দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এর আগে গোলমালকারীদের থামাতে থানার ওসি বা এসি-দের এমন ভাবে কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি বলেই সূত্রের দাবি।