আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ইলিশের আকাল, মাথায় হাত মৎস্যজীবীদের
প্রতিদিন | ০৯ জুলাই ২০২৫
রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: চলতি মরশুমে ইলিশের আকাল দেখা দেওয়ায় হতাশ দিঘার মৎস্যজীবীরা। ৬১ দিন ছুটি কাটিয়ে ১৫ জুন থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। তারপর কেটে গিয়েছে ২৩ নিন, কিন্তু ইলিশের দেখা নেই। প্রথমের দিকে এক দু’দিন ইলিশ উঠলেও তারপর আর রূপোলি শষ্যের সেঅর্থে ওঠেনি। কোনও ট্রেলারে নামমাত্র ইলিশ উঠলেও, দাম আকাশছোঁয়া। বড় ইলিশের সেভাবে দেখা মেলেনি। যে ইলিশ উঠেছে, তা মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। আষাঢ় মাসে ইলিশের স্বাদ না পেয়ে মন খারাপ ভোজনরসিক বাঙালির। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদেরও।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইলিশ মাছের যে জোগান ছিল, তারপর আর সেরকম জোগান দিঘার বাজারে দেখা যায়নি। কারণ, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা। ইলিশেগুঁড়ি বৃষ্টি না হওয়া ও সমুদ্রে দূষণের জোড়া ফলায় ইলিশের দেখা মেলা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শংকরপুর ও পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ ট্রলার এবার সমুদ্রে মাছের খোঁজে পাড়ি দিয়েছিল। মূলত, ইলিশের খোঁজেই প্রতিবার ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিয়ে থাকে। প্রতিবার ইলিশ সেভাবে দেখা না দিলেও পমফ্রেট, তেলিয়া ভোলা কিংবা অন্যান্য প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ওঠায় ট্রলারের খরচ উঠে যায়। কিন্তু এবার ইলিশ মাছের আকালের পাশাপাশি অন্যান্য মাছেরও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে মৎস্যজীবীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
মৎস্যজীবীদের দাবি, কমপক্ষে ৭ দিনের জন্যে ৯-১১ জন মৎস্যজীবী নিয়ে ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দিতে খরচ প্রায় লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু এবার মাছ না ওঠায় সেই খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রলার মালিকদের। দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, “এই মুহূর্তে ইলিশের দেখা নেই। প্রথমের দিকে ১৫ টন মতো ইলিশ মাছ উঠেছিল। তারপর আর আসেনি। তবে আবহাওয়া বারবার খারাপ হওয়ার কারণে ট্রলার ফিরে আসতে হয়েছে। এখন পাঁচদিন সব ট্রলার ফিরে এসে বসে আছে। মাছ না থাকায় ট্রলার চালানোর খরচ উঠছে না। যা মৎস্যজীবীদের হতাশার কারণ হয়ে উঠেছে।”