• নদিয়ার ২৩ শ্রমিককে ‘বেআইনিভাবে’ আটক ওড়িশায়, বিজেপিকে বিঁধে অবিলম্বে ছাড়ার দাবি মহুয়ার
    প্রতিদিন | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধায়: নদিয়ার ২৩ জন শ্রমিককে বেআইনিভাবে আটকে রেখেছে ওড়িশা পুলিশ! তাঁদের অবিলম্বে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে বিজেপি সরকারকে নিশানা করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

    সাংসদের অভিযোগ, শ্রমিকদের কাছে ভারতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও তাঁদের অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপিকে বিঁধে মহুয়ার দাবি, নবীন পট্টনায়কের ২৪ বছরের শাসনে এই অভিযোগ ওঠেনি। পড়শি রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই রকম হচ্ছে। শ্রমিকদের ছাড়া না হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি মহুয়ার।

    কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত পানিঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাপুরের ২৩ জন বাঙালি শ্রমিক ওড়িশায় কাজে যান। ঝাড়সুগুদা জেলার ওরিয়েন্ট থানার পুলিশ তাঁদের আটক করেছে বলে অভিযোগ। দিনকয়েক ধরে তাঁরা সেখানেই রয়েছেন। এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে মহুয়ার অভিযোগ, বাংলার শ্রমিকদের বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে। হেনস্তার শিকার ওই শ্রমিকদের কাছে আধার থেকে ভোটার-সহ সমস্ত তথ্য রয়েছে। সেই মোতাবেক প্রত্যেক ভারতবাসীর যে-কোনও জায়গায় গিয়ে থাকা বা কাজ করার অধিকার রয়েছে। তারপরও তাঁদের হেনস্তা করা হচ্ছে।

    তারপরই মহুয়া বলেন, “ভাববেন না এই শ্রমিকদের হয়ে লড়াই করার কেউ নেই। যদি তাঁদের অবিলম্বে ছাড়া না হয়, তাহলে আদালতের দ্বারস্থ হব।” পাশাপাশি ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও সেই রাজ্যের পুলিশের ডিজিকে ব্যবস্থার নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে ওড়িশার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন মহুয়া।

    সম্প্রতি, ওড়িশায় বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে কয়েকজন শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা গিয়েছে। বাংলা বলার অপরাধে বাংলাদেশি হিসাবে সন্দেহ ও হেনস্তায় বাঙালির শ্রমিকদের হেনস্তা রুখতে মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে। এই আবহে ফের পড়শি রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল।

    মহুয়ার পাশপাশি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামও। তিনি লিখেছেন, বাংলার প্রায় ২০০ পরিযায়ী শ্রমিককে বিভিন্ন সময়ে আটক করেছে ওড়িশা পুলিশ। অপরাধ কি বাংলায় কথা বলা? এই প্রশ্ন তুলে সেখানকার বিজেপি সরকারকে বিঁধেছেন তিনি। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন তাঁরা ইতিমধ্যেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।  
  • Link to this news (প্রতিদিন)