১ মাসের বৃষ্টি এক রাতে! যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ পুরসভার, জল নামল মাত্র ১২ ঘণ্টায়
প্রতিদিন | ০৯ জুলাই ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: একমাসের বৃষ্টি হয়েছে একরাতে। আর সেই জমা জল সরাতে কলকাতা পুরসভা সব মিলিয়ে সময় নিল মাত্র ১২ ঘণ্টা!
পুর নিকাশি বিভাগের তথ্য বলছে, যোধপুর পার্ক পাম্পিং স্টেশনে সোমবার মাঝরাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ২৬৭ মিলিমিটার। পুর নিকাশি বিভাগের মেয়র পারিষদ তারক সিংয়ের কথায়, বর্ষায় একমাসে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়, সেই বৃষ্টি হয়েছে একরাতে। কিন্তু নিকাশি বিভাগের তৎপরতার জন্য দ্রুত শহরের জমা জল সরেছে। দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন নাগরিকরা।
তবে ভূগর্ভস্থ নিকাশির পলি অপসারণের পরেও টালিগঞ্জ, বালিগঞ্জ, রাসবিহারী, গাঙ্গুলিপুকুর, খিদিরপুর, টালিগঞ্জের একটা বড় অংশে দীর্ঘক্ষণ জল জমে ছিল। কারণ একটি বক্স ড্রেন তৈরির জন্য টালিগঞ্জ থেকে অভিষিক্তা পর্যন্ত ভূগর্ভস্থ নিকাশির একাংশ আটকে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আচমকা বৃষ্টির ফলে জল জমে যায়। শেষ পর্যন্ত ব্লো ভ্যাক যন্ত্র দিয়ে জমা জল সরানো হয়। এদিকে নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে সার্কুলার ক্যানাল ও বিবি ১ খাল পরিদর্শন করেন তারক সিং। দেখা যায়, ভরা জোয়ারের জন্য খালের জল উপচে পড়ছে রাস্তায়। পুরসভার তরফে কলকাতার বিভিন্ন অংশে গঙ্গার সঙ্গে যুক্ত নিকাশির পেন স্ট্রোকগেট আটকে দেওয়া হয়।
এই জলযন্ত্রণার মধ্যেই পাতিপুকুরে একদম অন্য ছবি। গত ২০ বছরের মধ্যে এই প্রথম পাতিপুকুর রেলব্রিজের নিচ জলশূন্য। তিনমাস আগে পাতিপুকুর রেল ব্রিজের ভূগর্ভস্থ নিকাশির পলি সংস্কার হয়েছে। ফলে সকাল সাতটা নাগাদ পড়ুয়ারা বাসে করে স্কুলে গিয়েছে। দমদম থেকে বালিগঞ্জ আবার টালা থেকে টালিগঞ্জ এমনকী সংযুক্ত এলাকার খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, গার্ডেনরিচের মতো এলাকাতে জল জমলেও সকাল দশটার মধ্যে জল নেমে গিয়েছে। নিকাশি বিভাগের থেকে গোটা কলকাতায় অন্তত ৫০টি গাড়ি নামানো হয় রাস্তার জল সরানোর জন্য। এক আধিকারিকের কথায়, গোটা কলকাতায় মাত্র ১২ ঘণ্টায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে আবার ভরা কটাল। কিন্তু আগে থেকে তৎপর হওয়ায় শহর দ্রুত জমা জল শূন্য হয়। পুর নিকাশির মতো সেচদপ্তরও রাত থেকে পথে নামে। খালের জল দ্রুত নদীতে ফেলার জন্য বড় পাম্প চালানো হয়। সব মিলিয়ে বেশি বৃষ্টি হলেও জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়নি শহরকে।