আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হল প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। তবে সঞ্জয়ের দাবি, সে নির্দোষ। এবার বেকসুর খালাসের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল সঞ্জয় রায়। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চে সেই আবেদন জমা পড়ে। তার আবেদন গ্রহণ হবে কি না তা নিয়ে এই আবেদনের শুনানি হবে আগামী বুধবার, ১৬ জুলাই। আদালত সব পক্ষকে মামলার প্রতিলিপি দিয়ে ওই দিন হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালত ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দিয়েছিল। তার আগে, ১৮ জানুয়ারি আদালত তাকে ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে দোষী ঘোষণা করে।এই রায়ের পর নির্যাতিতার পরিবার ও সিবিআই সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবি তোলে। তবে বিচারক জানিয়েছিলেন, ‘রেয়ারেস্ট অফ দ্য রেয়ার’ পর্যায়ের মধ্যে না পড়ায় ফাঁসি নয়, আমৃত্যু সাজাই যথাযথ। তবে পরে সিবিআই এই মর্মে হাইকোর্টে আবেদনও করে। সেই আবেদন গ্রহণ করেছে আদালত। এবার নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে হাইকোর্টে আপিল করল সঞ্জয়।
গত বছরের ৯ অগস্ট সকালে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের চার তলায় সেমিনার রুমে কর্তব্যরত এক তরুণী চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত হিসেবে ধরা পড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ১৪ অগস্ট আদালতের নির্দেশে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে। ঘটনার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ শুরু হয়। একই ঘটনায় হাসপাতালের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে। তাঁকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেই মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন। ধর্ষণ ও খুনের মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে এখনও সঞ্জয় রায়কেই ধরা হচ্ছে।