• এসএসসির ভূমিকায় প্রশ্ন আদালতের, ‘চিহ্নিত অযোগ্যদের’ নিয়ে যুক্তি দিলেন কল্যাণ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৫
  • চিহ্নিত অযোগ্যরা নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারবে না বলে আগেই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য ও এসএসসি। তবে এবার সেখানেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য ও এসএসসি। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাসের সেই বেঞ্চেই প্রশ্নের মুখে পড়ল এসএসসি। কেন সেই অযোগ্য বলে চিহ্নিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে এসএসসি সেই প্রশ্ন তুলল আদালত।

    এদিকে বুধবার শুনানির সময় বিচারপতিরা জানতে চান, অযোগ্য বলে চিহ্নিতদের মধ্য়ে কতজন এখনও পর্যন্ত নতুন করে যে নিয়োগ পরীক্ষা হবে সেখানে বসার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন? সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে এসএসসি। সেখানে এসএসসি জানিয়ে দিয়েছে, সেই অযোগ্য বলে চিহ্নিতদের ১০ শতাংশ এখনও পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে সেই সংখ্যাটা হল ১৮০টি। অর্থাৎ অযোগ্য বলে চিহ্নিতদের মধ্যে ১৮০টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে।

    এসএসসির আইনজীবী হিসাবে ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

    তিনি মোটামুটি দুটি যুক্তি দেখিয়েছেন আদালতের কাছে।

    প্রথমত, নতুন নিয়োগ পরীক্ষায় কারা বসতে পারবেন আর কারা বসতে পারবেন না সেটা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, কারা নতুন নিয়োগে যোগ দিতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা স্পষ্টভাবে বুঝতে চাইছে এসএসসি।

    সেই সঙ্গেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দ্বিতীয় যুক্তি হল, 'দাগি' দের চাকরি বাতিল হওয়ার পরে তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে অপর একটি প্রশ্নও তিনি রেখেছেন আদালতের শুনানির সময়। প্রসঙ্গত বলা যায় সিঙ্গল বেঞ্চেও একই ধরনের প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ। সেটা আরও একবার ডিভিশন বেঞ্চেও তুলেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ডিভিশন বেঞ্চেও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশ্ন, একই দোষের জন্য় কি একাধিক শাস্তি প্রাপ্য ওদের?
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)