নীতি আয়োগের রিপোর্টে বিহার হয়ে গেল বাংলা। সরকারি রিপোর্টে এত বড় ভুল কীভাবে হয়, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুললেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বুধবার নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে তিনি নিন্দা করেছেন পুরো বিষয়টির। পাশাপাশি নীতি আয়োগে এই ভুল সংশোধনের কথা জানিয়ে চিঠিও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্ন থেকে। মমতার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এই ভুল একটি ছোটখাটো প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়।
গলদটা ঠিক কোথায়?নীতি আয়োগ ভারত সরকারের একটি নীতি-নির্ধারণকারী সংস্থা। এটি যোজনা কমিশনকে প্রতিস্থাপন করে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ঠিক কী ভুল করেছে নীতি আয়োগ? চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে সেই ভুল। নীতি আয়োগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টটি পশ্চিমবঙ্গ বিষয়ক নানা তথ্য সম্বলিত রিপোর্ট। কিন্তু রিপোর্টের সঙ্গে থাকা ম্যাপটিতে দেখা যাচ্ছে বিহারের সীমানা। বিহারকে হাইলাইট করা হয়েছে ওই ম্যাপে। এই ভুল নিয়েই সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
চিঠির প্রথমাংশেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নীতি আয়োগের মতো একটি সরকারি রিপোর্টে এমন ভুল কী করে হয়, এই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। তাঁর কথায়, এই ধরনের ভুল শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়। বরং এই ভুল রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ণ করে। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, এই ধরনের ভুল একই সঙ্গে অধ্যাবসায়ের অভাব ও রাজ্যের প্রতি অবজ্ঞার দৃষ্টিভঙ্গিকে চিহ্নিত করছে। দেশের মানুষ এই তথ্যের জন্য বিভ্রান্ত হতে পারেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছিলেন নীতি আয়োগের প্রসঙ্গে। একাধিকবার তিনি নীতি আয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বদলে যোজনা কমিশনকে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০২৪ সালে তাঁকে নীতি আয়োগের সভায় ঠিকভাবে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ ছিল, তাঁর কথা বলার সময় বারবার মাইক বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছিল। প্রসঙ্গত, এই বছর মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশ নেননি।