বনধ ঘিরে গাঙ্গুলিবাগানে ধুন্ধমার পরিস্থিতি, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি সৃজনের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৫
বুধবার বাম ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট ঘিরে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি দেখা গিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। দক্ষিণ কলকাতার গাঙ্গুলিবাগানও এদিন বনধ ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল। বিক্ষোভ মিছিল আটকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। মিছিল রুখে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে বাম কর্মীদের বচসা বাঁধে। উত্তেজনার মধ্যেই সৃজনকে টানাহেঁচড়া করা হয়। ঘটনায় তাঁর হাতে চোট লাগে এবং জামা ছিঁড়ে যায় বলে অভিযোগ। মিছিলেই অংশ নেওয়া এক মহিলা কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা। পুলিশের বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায়। কিন্তু এতেও বাম নেতাদের অবস্থান বদলায়নি। সৃজন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, মিছিল হবেই। যত বাধাই আসুক তাঁরা রাস্তায় থাকবেন। পরে আবারও তাঁর নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয় গাঙ্গুলিবাগান থেকে।
এদিকে, ধর্মঘটের জেরে বিক্ষোভে সরব হন বহু বাম সমর্থক যাদবপুর রেলস্টেশন এলাকাতেও। সকাল থেকেই স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে জমায়েত শুরু হয়। পরে মিছিল চলে যায় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে। সেখানে ওঠে স্লোগান, দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি ও ২৬ হাজার টাকা ন্যূনতম মাসিক বেতন নিশ্চিত করার দাবি ওঠে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বারবার শ্রমিকস্বার্থকে উপেক্ষা করছে। নতুন শ্রম কোড কার্যকর করে শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার খর্ব করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। সেই কোড বাতিলের দাবিতে তাঁরা রেল অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেন।
বুধবার দেশ জুড়ে বনধের জেরে কোথাও রাস্তা, কোথাও রেলপথ অবরুদ্ধ হয়। যদিও প্রশাসনের তরফে আগে থেকেই তৎপরতা ছিল, তবুও একাধিক জায়গায় উত্তেজনা ঠেকানো যায়নি। বীরভূমে রাস্তার মাঝে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। ঘাটালে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান অবরোধকারীরা। পুরশুড়া ও বারাসতে রাস্তায় বসে পড়েন বাম কর্মীরা।জলপাইগুড়িতে বাস আটকালে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাওড়াতেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।