‘বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে NRC চালু করার চেষ্টা চলেছ’ বিজেপিকে তোপ অভিষেকের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ জুলাই ২০২৫
অসমে বাংলার বাসিন্দাকে এনআরসি নোটিস পাঠানোর ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার এনিয়ে কড়া ভাষায় বিজেপিকে বিঁধলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেন, কোনও জনসমর্থন ছাড়াই পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।
এক্স পোস্টে অভিষেক লেখেন, ‘যেখানে বিজেপির শাসন করার কোনও নৈতিক অধিকার নেই সেই বাংলায় পিছনের দরজা দিয়ে এনআরসি চালু করার এক প্রতারণামূলক প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়। তারা বাংলাভাষী নাগরিকদের লক্ষ্য করে ভয় ও নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে এবং অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প মডেলের প্রতিলিপি তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলায় পা না রেখেও যদি বিজেপির ঔদ্ধত্যের মাত্রা এই হয়, তাহলে ক্ষমতায় আসলে তারা কী ধরণের অস্থিরতা তৈরি করবে তা কল্পনা করাই যায়।’ তিনি আরও লেখেন, ‘এটি আর কেবল রাজনৈতিক যুদ্ধ নয়। এটি আমাদের সংবিধানের গণতান্ত্রিক, বহুত্ববাদী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি রক্ষার লড়াই। আমরা বিজেপির বিভাজনকারী, জনবিরোধী এবং কর্তৃত্ববাদী এজেন্ডাকে বাংলায় শিকড় স্থাপন করতে দেব না। বাংলা প্রতিরোধ করবে। বাংলা মাথা নত করবে না।’
এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি ইস্যুতে মুখ খুলে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ, অসমের ডিটেনশন ক্যাম্পের মতো নীতি বাংলায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির। তিনি লেখেন, ‘যাঁরা বহু দশক ধরে এই বাংলার নাগরিক, যাঁদের পরিচয়পত্র আছে, তাঁরাও আজ হয়রানির মুখে পড়ছেন।’ উল্লেখ্য, কোচবিহারের বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে এনআরসি-র নোটিস পাঠিয়েছে অসম সরকার। অথচ, ১৯৬৬ সালের ভোটার তালিকাতেই তাঁর নাম ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম।এছাড়াও তাঁর বৈধ পরিচয়পত্র রয়েছে। তা সত্ত্বেও অসম সরকার তাঁকে বিদেশি বা ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বলে সন্দেহ করে এনআরসির নোটিস পাঠিয়েছে। এই আচরণকে মুখ্যমন্ত্রী গণতন্ত্রের উপর ‘পরিকল্পিত আক্রমণ’ বলে অভিহিত করেছেন। এরপরেই তৃণমূলের তরফে একের পর এক শীর্ষ নেতৃত্ব এনিয়ে তীব্র আক্রমণ করতে থাকে বিজেপিকে।