'পুরোপুরি চক্রান্ত, দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে রাজন্যা', দাবি ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বৈশালীর...
আজকাল | ১০ জুলাই ২০২৫
মিল্টন সেন, হুগলি: চক্রান্ত করে দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন রাজন্যা হালদার। বুধবার এমনই অভিযোগ তুলেছেন তাঁর বান্ধবী ও সহকর্মী, জয়ী ব্যান্ডের সদস্য বৈশালী দাশগুপ্ত। হুগলি জেলার ব্যান্ডেলের বাসিন্দা বৈশালী দীর্ঘদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। হুগলি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সহ সম্পাদক তিনি। জয়ী ব্যান্ড যখন তৈরি হয়, তখন থেকেই তিনি ছিলেন। সেই গানের দলের হয়ে তৃণমূলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গেয়েছেন। রাজন্যার সঙ্গে তখন থেকে বন্ধুত্ব বৈশালীর। এক সঙ্গে একাধিক মঞ্চে গান গেয়েছেন। কত রাত একসঙ্গে থেকেছেন। একসঙ্গে যাতায়াত করেছেন। তাঁদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর।
এদিন বৈশালী চুঁচুড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, '২০২৩ সালের ২১ জুলাই সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিল রাজন্যা। সেটাও ছিল জয়ী ব্যান্ডের সদস্য হওয়ার সুবাদেই। তারপর থেকে একাধিক অনুষ্ঠানে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে। খুব কাছ থেকে কথা হয়েছে। অথচ রাজন্যা এখন বলছে, তার এআই করা বিকৃত ছবির বিষয়ে মমতা ব্যানার্জি জানাতে পারেননি। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নাকি ও পৌঁছতে পারেনি। যা সর্বৈব মিথ্যা কথা।'
রাজন্যা বলছেন, অনেক মনোজিত আছে দলে। পাল্টা বৈশালী বলেছেন, 'এক মনোজিতের ভয় দেখিয়ে আগামী প্রজন্মের ছাত্রীদের জুজু দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে তারা মনে করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে এবং তৃণমূলে সহকর্মীদের কাছেই সুরক্ষিত নয় মেয়েরা। আসলে, বাস্তব সেটা নয়।' বৈশালীর দাবি, 'আমরা দীর্ঘদিন দল করছি।অনেক আন্দোলনে রাত জেগেছি। দিল্লি গিয়েছি। সেখানে দলের দাদা, ভাই, বন্ধুরাই পাশে থেকেছেন। কখনও মনে হয়নি, আমরা মেয়েরা অসুরক্ষিত।'
বৈশালী আরও জানিয়েছেন, নতুন বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর রাজন্যার বাবা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সেটা দেখেছেন। তাঁর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নাকি এখন আর নেই। রাজন্যা ২৪-এর লোকসভা ভোটের আগে বলেছিলেন, বিজেপি নাকি ওকে টিকিট দেবে। কে বলেছেন? কোথায় দেবেন? সে বিষয়ে অবশ্য কিছু বলেননি। আরজি কর আবহে বিতর্কিত বিষয় নিয়েও সিনেমা তৈরি করেছিলেন দলের অনুমতি ছাড়াই। তখন বলেছিলেন, নেত্রী রাজন্যা আর অভিনেত্রী রাজন্যা আলাদা। দল তাঁকে সাসপেন্ড করায় হঠাৎ উত্থান থেকে পতন মেনে নিতে পারেননি। তাই দলকে কালিমালিপ্ত করতে এখন উল্টোপাল্টা বলছেন।
বৈশালীর কথায়, 'রাজন্যার স্বামীর ছবি রয়েছে মনোজিতের সঙ্গে। ওদের ভাল বন্ধুত্ব ছিল। আসলে রাজন্যা যেটা দেখাতে চাইছে, সেটা সত্যি নয়। এটাই আমরা বলতে চাই। কসবার ঘটনা দল দলের নেতৃত্ব সমর্থন করেনি। অথচ এমন সব বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে, মনে হচ্ছে, অনেক মনোজিতে দল ভরে আছে। মনোজিৎ মিশ্র দলের পদ পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। পদ পাওয়ার আগে কিন্তু অভিযোগ ছিল না।'