সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহে অভিযুক্ত কাঞ্চন, শ্রীময়ী বললেন,'ডাক্তারের দোষ'
আজ তক | ১০ জুলাই ২০২৫
ফের বিতর্কে জড়ালেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। এবার সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে নিগ্রহের অভিযোগ উঠল অভিনেতা ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে এই ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকের সঙ্গে ঝামেলার জেরে হাসপাতাল চত্বরে উত্তেজনা ছড়ায়। পরে যদিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কাঞ্চনের পরিবারের তরফে যদিও জানানো হয়েছে, তাঁদের উপর আনা অভিযোগ মিথ্যা। বরং ডাক্তারবাবুই খারাপ ব্যবহার করেছেন।
বুধবার দুপুরে ওই হাসপাতালে শ্রীময়ী তাঁর দিদাকে নিয়ে যান হাসপাতালে। কাঞ্চনও ছিলেন সঙ্গে। ওই হাসপাতালেই আগে চর্মজনিত অসুখ নিয়ে ভর্তি ছিলেন কাঞ্চনের আত্মীয়া। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। এরপর বুধবার ফের হাসপাতালে যান চেকআপের জন্য। তখনই বচসায় জড়ান চিকিৎসকের সঙ্গে। অভিযোগ,কাঞ্চন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন হাসপাতালে। চিকিৎসককে বদলির হুমকিও দেন। যদিও শ্রীময়ী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,কাঞ্চন বা তিনি হাসপাতালে কোনওরকম প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেননি। বাজে মন্তব্য করেননি। বরং রহমান নামে এক চিকিৎসকই তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
শ্রীময়ী বলেন, 'চেক আপের জন্য দিদাকে আজ স্কিন বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন, একবার মেডিসিন বিভাগে দেখিয়ে নিতে। সেই মোতাবেক আমরা যাই মেডিসিনে। তখন মেডিসিন বিভাগের হেড ড: রহমান ওখানে ছিলেন। উনি জানালেন ৩ জনকে দেখার পর দেখবেন। তারপর দিদাকে ডাকবেন। বেশ কয়েকজন পেশেন্টকে দেখার পর দিদাকে দেখে বললেন, এটা তো স্কিনের। এখানে কী দেখব? আমাদের কিছু করার নেই। তখন কাঞ্চন পাশ থেকে বলে, ডাক্তারবাবু আপনি কি সুগার ও প্রেসারটা একবার চেক করে দেবেন? রহমান তখন রেগে যান। বলেন, আপনি আমাকে শেখাবেন যে কোনটা চেক করতে হবে? কাঞ্চন তখন সরি বলে। তখন আমি ডাক্তারবাবুকে জিজ্ঞাসা করি, ওষুধটা কি চলবে। তাতে উনি মেজাজ হারান। আমি প্রতিবাদ করি। তখন বলেন, দিনে ২ হাজার রোগী দেখি। আমি এরকমই ব্যবহার করব। যদিও পাশে বসে থাকা মেডিসিনের আর এক ডাক্তার আমার দিদাকে দেখেন। তিনি একাধিক পরীক্ষা লিখে দেন ও ওষুধ নিতে বলেন।'
কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে শ্রীময়ীর প্রতিক্রিয়া, তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন ওই ডাক্তার। কোনও প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করা হয়নি। শ্রীময়ীর কথায়, 'ডাক্তারবাবু আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। নিজের কর্তব্য পালন করেননি। কোনও প্রভাব খাটাইনি আমরা। তাহলে তো সরকারি হাসপাতালে যেতাম না। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। কোনও ডাক্তারকে ট্রান্সফারের হুমকি দেওয়া হয়নি কাঞ্চনের তরফে।'