• কুলতলিতে বধূর মৃত্যু, খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
    বর্তমান | ১০ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: এক বধূর মৃত্যু হল কুলতলি থানার দেউলবাড়িতে। মৃতার নাম মনোয়ারা মোল্লা (২০)। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ওই বধূর বাড়ি বারুইপুর থানা এলাকায়। বছর দেড়েক আগে মনোয়ারার সঙ্গে বিয়ে হয় মাঝিদুল মণ্ডলের। তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত হয় ফোনালাপ থেকে। এরপর একদিন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে মনোয়ারার বাড়ি গিয়ে তাঁকে বিয়ে করেন মাঝিদুল। বিয়ের সময় পণের টাকা, সোনার গয়না-সহ সবই দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি মৃতার পরিবারের। তবুও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অজুহাতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকা দাবি করত বলে অভিযোগ।

    মেয়ের বাবার আরও অভিযোগ, মাঝিদুলের অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটি প্রতিবাদ করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। মনোয়ারার বাবার আরও অভিযোগ, মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখাও কঠিন হয়ে উঠেছিল। ফোনে কথা বলতে দেওয়া হতো না। আজ, বুধবার, মেয়ের বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই খবর আসে যে, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে। যদিও বাড়িতে ছিল না স্বামী ও শ্বশুর। তারা কাজের জন্য ভিন রাজ্যে রয়েছেন। বাড়িতে শ্বাশুড়ি, ছোট দেওর ও ছোট ননদ ছিলেন।

    মনোয়ারার পরিবারের স্পষ্ট অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়। ঠান্ডা মাথায় খুন। পরিবারের সকলে মিলে মেয়েকে খুন করেছে। ঘটনায় কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)