নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: দীর্ঘদিন ধরেই বারাসত শহরের ১২ নম্বর রেলগেট লাগোয়া এলাকায় যানজটে নাকাল হতেন পথচারীরা। ছোট বা বড় গাড়িও প্রবেশ করতে পারত না। বেশিরভাগ ছোট ব্যবসায়ী দোকান ছাড়িয়ে কার্যত রাস্তা দখল করে নিয়েছিলেন। এই যন্ত্রণা থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে উদ্যোগী হন বারাসতের সাংসদ। চেষ্টা শুরু করে প্রশাসনও। অবশেষে এই রাস্তা দখলমুক্ত করা হল। এখন অ্যাম্বুলেন্স বা দমকলের গাড়ির মতো ছোট বা বড় গাড়ি অনায়াসেই যাতায়াত করতে পারবে এই রাস্তা দিয়ে।
শহরের ১২ নম্বর রেলগেট ও উড়ালপুলের পাশে রয়েছে একাধিক ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু সেখানে উড়ালপুলের নীচে অনেক ব্যবসায়ী নিজেদের মতো করে দোকান বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। অনেকে রাস্তার উপরেই ব্যবসা করতে শুরু করেন। ফলে সরু হয়ে যায় রাস্তা।
দীর্ঘদিন ধরেই এই সমস্যা চলছিল। অবশেষে স্থানীয় ব্যবসায়ী ইউনিয়নের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করেন বারাসত পুরসভা ও মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। তাতে ঠিক হয়, ব্যবসায়ীরা নিজস্ব জায়গাতেই ব্যবসা করবেন এবং সেই জায়গা হলুদ লক্ষ্মণ রেখা দিয়ে চিহ্নিত করে দেবে পুরসভা। ঠিক হয়, এই দাগ পেরিয়ে কোনও ব্যবসায়ী তাঁদের সামগ্রী রাখতে বা ব্যবসা করতে পারবেন না।
মঙ্গলবার এই কাজ খতিয়ে দেখেন বারাসতের সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের কোনও সমস্যা না করেই রাস্তা সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়েছে।
পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আপাতত ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকার রাস্তা ফাঁকা করা