বিজ্ঞান শেখাতে স্কুলে স্কুলে ঘুরছে ‘ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শশালা’
বর্তমান | ১০ জুলাই ২০২৫
সংবাদদাতা, বারুইপুর: সাধারণ একটি যাত্রীবাহী বাসের খোলনলচে বদলে তৈরি করা হয়েছে প্রদর্শশালা। বাসের ভিতর সাজিয়ে রাখা বিজ্ঞান বিষয়ক ছোট-বড় মডেল। বাসের বাহির অংশও সাজানো নানা ধরনের মডেল দিয়ে। ভ্রাম্যমাণ এই প্রদর্শশালা ঘুরছে একাধিক স্কুলে। বিড়লা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল মিউজিয়ামের উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সহায়তায় প্রত্যন্ত এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে বাসটি। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে চলছে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনী।
সম্প্রতি কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র স্কুলে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীটির সূচনা হয়। উদ্যোক্তারা জানান, চলতি মাসে কুলতলি ব্লকের বিভিন্ন স্কুলে ঘুরবে বাস। কৃষিকাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কী কাজে লাগে? সৌরশক্তি থেকে কীভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়? কি পদ্ধতিতে কাজ করে মোবাইল? ইত্যাদি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় মডেলের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীতে। ছাত্রছাত্রীরা মডেল মারফত হাতেকলমে সব বুঝে নিতে পারছে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি যখন যে স্কুলে বাস দাঁড়াচ্ছে সেখানে বিজ্ঞান নিয়ে হচ্ছে কর্মশালা। পাশাপাশি জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত কিছু ভিডিও দেখানো হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। যেমন রয়েছে টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশ দেখার ব্যবস্থা। রূপম দাস নামে এক উদ্যোক্তা বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েদের কাছে বিড়লা মিউজিয়ামে গিয়ে সায়েন্স শো বা বিজ্ঞানের প্রদর্শনীগুলি দেখার সুযোগ কম। তাদের কথা মাথায় রেখেই এই ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান প্রদর্শনীর আয়োজন হয়েছে। বিভিন্ন স্কুলে ঘুরে ঘুরে আমরা বিজ্ঞানের পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ প্রদর্শনীটি ঘিরে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাপক উৎসাহ চোখে পড়ছে। স্কুলের ফাঁকে ভিড় করে দেখতে আসছে তারা। সাহস করে বিভিন্ন সায়েন্স শো’গুলিতে এখন অংশ নিচ্ছে অনেকে। জামতলা ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল বলেন, ‘প্রত্যন্ত এলাকায় এখনও শিক্ষার প্রসার পুরোপুরি হয়নি। মানুষের মধ্যে নানা ধরনের কুসংস্কারের প্রভাব রয়েছে। সেই জায়গায় এ ধরনের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রদর্শনী ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুবই কার্যকর।’ নিজস্ব চিত্র