• নীতি আয়োগের ম্যাপে বিহার হল বাংলা, বিতর্ক, ক্ষুব্ধ মমতা
    বর্তমান | ১০ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ফের কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে বাংলার ‘সম্মানহানি’! এবার অভিযোগ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের দিকে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেই যোজনা কমিশন ভেঙে দিয়ে নীতি আয়োগ গঠন করেছে মোদি সরকার। এহেন জাতীয় সংস্থার প্রকাশ করা সরকারি রিপোর্টের মানচিত্রে ভুল। ম্যাপে বিহারকে দেখানো হল পশ্চিমবঙ্গ হিসেবে। বুধবার এই অভিযোগ তুলে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সটান চিঠি পাঠিয়েছেন দিল্লিতে। মমতার দাবি, অবিলম্বে ক্ষমা চেয়ে সংশোধনী প্রকাশ করুক নীতি আয়োগ।

    ‘সামারি রিপোর্ট ফর দি স্টেট অব ওয়েস্ট বেঙ্গল’ নামাঙ্কিত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের নীতি আয়োগ। এদিন সেটি সামনে আসার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় স্তরে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে। কেননা ওই রিপোর্টের প্রচ্ছদে পশ্চিমবঙ্গের যে মানচিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা আদতে বিহারের। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন কে বেরি’কে। মমতার ওই চিঠির ছত্রে ছত্রে ধরা পড়েছে তীব্র ক্ষোভ। কেন্দ্রের রিপোর্টে সঠিক মানচিত্র না থাকাকে ‘লজ্জাজনক ভুল’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘এটা শুধু প্রযুক্তিগত ভুল নয়, এটা পশ্চিমবঙ্গের মর্যাদার উপর ভয়ঙ্কর আঘাত। নীতি আয়োগের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি রাজ্যগুলির প্রতি অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ।’

    নীতি আয়োগ নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক তুঙ্গে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পরিকল্পিত জাতীয় যোজনা কমিশন ভেঙে দেওয়ার বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন মমতা। এমনকী একবার নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝপথে মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার তাঁর অভিযোগ আরও মারাত্মক— বাংলার অস্তিত্বকে কার্যত নস্যাৎ করা হচ্ছে। ঘটনাচক্রে নীতি আয়োগের চেয়ারম্যান প্রধামনন্ত্রী মোদি স্বয়ং। সেই সংস্থা কী করে মানচিত্রে এত বড় ভুল করল, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘নীতি আয়োগের ওই রিপোর্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর উপর ভিত্তি করেই অনেক সিদ্ধান্ত রূপায়িত হয়। কিন্তু সেখানেই এইরকম ভুল আদতে নীতি আয়োগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।’ যদিও এদিন রাত পর্যন্ত এব্যাপারে বিবৃতি দেয়নি মোদি সরকার বা কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।
  • Link to this news (বর্তমান)