• ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে খুন, ৩ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত
    বর্তমান | ১০ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ৩ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল আদালত। খুনের পর তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছিল তিন দোষী। আজ, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক রিণ্টু শূর ওই সাজা ঘোষণা করেন। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে একই মামলায় তিনজনের ফাঁসির সাজা নজিরবিহীন।২০২০ সালের ১০ আগষ্ট ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ থানা এলাকায়। ঘটনার পরদিন ছাত্রীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। নিখোঁজের ১২ দিন পর বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে একটি নির্মীয়মান সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস তিনজন যুবককে গ্রেপ্তার করে। মামলায় ২৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, সাজাপ্রাপ্তদের নাম রহমান আলি, জামিরুল হক ও তামিরুল হক। তিনি বলেন, এদিন রায় ঘোষণার সময় বিচারক ঘটনাটিকে নির্মম, নিষ্ঠুর ও বর্বর বলে উল্লেখ করেন। ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। তাঁকে অপহরণের পর অভিযুক্তরা বারবার ডেরা বদলে ধর্ষণ করে। অবশেষে তাঁকে এক অভিযুক্তের পরণের গেঞ্জি দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। খুনের পর ছাত্রীর দেহ বাইকে করে নিয়ে গিয়ে সেপটিক ট্যাংকে ফেলা দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটিকে নির্মম, নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত উল্লেখ করেই ৩ দোষীকেই ফাঁসির সাজা শোনাল বিচারক।
  • Link to this news (বর্তমান)