শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: টানা বৃষ্টি। এই পরিস্থিতিতে ডিভিসি থেকে ৮৬ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। তার জেরে ফের প্লাবিত ঘাটাল মহকুমার তিনটি ব্লক। জলমগ্ন ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ডও। বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায়। দুর্গতদের জন্য় খোলা হয়েছে ত্রাণ শিবির। বাসিন্দাদের সুরক্ষিত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নতুন করে অনেক এলাকায় জল ঢুকছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘাটালে পৌঁছেছেন মানস ভূঁইয়া। ঘাটাল মহকুমা অফিসে আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিনি।
আজ, বৃহস্পতিবার ঘাটালে হালাকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টিও হচ্ছে ডিভিসির ছাড়া জল ও লাগাতার বৃষ্টিতে ফুঁসছে কংসাবতী, শীলাবতী, রূপনারায়নের মতো নদীগুলি। জল বিপদসীমা ছুঁইয়েছে। একাধিক এলাকায় নতুন করে জল ঢুকছে। চন্দ্রকোণা-১ ও চন্দ্রকোণা-২ ব্লক ও ঘাটালের একাধিক মৌজা জলের তলায়। ঘাটাল ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়েছে। আরও কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জল ঢুকছে। চন্দ্রকোণা-১ ও চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের পরপর কয়েকটি মৌজায় জল ঢুকেছে। প্রশাসনের তরফে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। দপ্তরগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ঘাটালের মহারাজাপুর এলাকায় ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। জনসাধারণের যাতে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় সেই ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসন।
আজ ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই ঘাটালে পৌঁছেছে সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া। ঘাটাল মহকুমা অফিসে মহকুমাশাসক, চিফ ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলা কৃষি আধিরারিক ও জেলা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বৈঠকে বসার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমরা মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছি। জুন মাসের প্রথম থেকে এত বৃষ্টি আমি দেখিনি। নদীগুলি ফুঁসছে। ডিভিসির লাগাম ছাড়া জল ঢুকছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ এতটুকু ফাঁক রাখা যাবে না। আমরা সেই মতো কাজ করছি।”