• দুর্গাপুরের হাসপাতালে রোগীর রহস্যমৃত্যু! আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু?
    প্রতিদিন | ১০ জুলাই ২০২৫
  • সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: হাসপাতালের ছাদ থেকে মরণঝাঁপ রোগীর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল চিকিৎসাধীন প্রৌঢ়ের। ঘটনায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    জানা গিয়েছে, মৃত প্রৌঢ়ের নাম নেপাল চন্দ্র দাস (৮৫)। দুর্গাপুরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুভাষপল্লি এলাকার বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা নিয়ে নেপালচন্দ্র দাসকে চলতি সপ্তাহের সোমবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। পরিবারের দাবি, ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন নেপালবাবু। কিন্তু বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে খবর আসে নেপালবাবু হাসপাতালের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। তারপরেই পরিবারের লোকজন হাসপাতালে যায়। গিয়ে দেখেন নেপালবাবুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই গোটা এলাকা জুড়ে চরম শোরগোল পড়ে যায়।

    মৃতের বৌমা অপু দাসের অভিযোগ, “আমার শ্বশুর চিকিৎসাধীন ছিলেন। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। তারই মধ্যে ঘটল অঘটন। হাসপাতালে নিরাপত্তার গাফিলতি ছাড়া আমার শ্বশুরমশাইয়ের মৃত্যু হতো না। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি। তদন্ত করার আবেদন রেখেছি।” হাসপাতালের সুপার ডাক্তার ধীমান মণ্ডলবলেন, “হাসপাতালের ছাদের দরজা খোলা ছিল। উঠে গিয়েছিলেন কোনও কারণবশত ওই রোগী। তারপরই সেখান থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। আমরা বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকজন হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবুও তদন্ত করে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

    এই ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এত সিসিটিভি ক্যামেরা, এত বাউন্সার, এত নিরাপত্তারক্ষী সত্ত্বেও রোগী কীভাবে হাসপাতালে ছাদে গেলেন সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এটা সম্পূর্ণ হাসপাতালের গাফিলতি বলে কটাক্ষ বিজেপির। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন হাসপাতালে, ওরা কাদের নিরাপত্তা দিতে রয়েছেন?” পালটা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর দীপেন মাঝি বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কীভাবে হাসপাতালের ছাদে উঠল সেই নিয়ে পুলিশের কাছে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে তদন্ত করার আবেদন রেখেছি। তবে বিরোধীদের বিরোধিতা করাই কাজ।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)