ওড়িশায় বাংলার শ্রমিক আটক, কেন আটকে রাখা হয়েছে? উত্তর তলব হাইকোর্টের
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ জুলাই ২০২৫
বারবার বাংলাদেশি সন্দেহে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে আটক করার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে ওরিশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক করছে পুলিশ। কখনও আবার পুশব্যাক করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এই সমস্ত ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলায় রাজ্যের কাছে একাধিক প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইল হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছে, ঠিক কী কারণে ওই শ্রমিকদের আটক করা হয়েছে? কোনও লিখিত অভিযোগ ছিল কি? আটক করার পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? আর এখন ঠিক কোথায় রয়েছেন তাঁরা? হাই কোর্টের নির্দেশ, রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে অবিলম্বে এই প্রশ্নগুলি ওড়িশার মুখ্যসচিবের কাছে পাঠাতে হবে। তাঁর কাছ থেকে প্রাপ্ত উত্তর বিচার করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে আদালত। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে জানা যায়, ওড়িশায় কর্মরত পশ্চিমবঙ্গের একাধিক শ্রমিকের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, ওই শ্রমিকদের আটক করে রাখা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে কেউ মালদা, কেউ মুর্শিদাবাদ, আবার কেউ বীরভূমের বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের তরফে ইতিমধ্যেই ওড়িশার প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মাঝেমধ্যে কিছু শ্রমিক ফিরেও এসেছেন বলে খবর, তবে এখনও অনেকে নিখোঁজ।
এদিকে দিল্লি থেকেও নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বীরভূমের পাইকরের ঘটনা। অভিযোগ, সেখানে কাজ করতে গিয়ে ছ’জন শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কোনও খোঁজ পাচ্ছেন না। এই প্রেক্ষিতে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন বীরভূমের দুই পরিবারের আইনজীবী। আদালতে জানানো হয়, নিরুদ্দেশ শ্রমিকদের অবস্থান এখনও অজানা। সব মিলিয়ে, একাধিক রাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের আটকে রাখার অভিযোগে চরম উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। হাই কোর্ট এখন সরাসরি উত্তর চেয়েছে ঠিক কোন ভিত্তিতে এই আটকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?