কানাডা পাঠানোর টোপ, কলকাতায় অপহৃত মহিলা ও শিশুসহ ৫ গুজরাটি, উদ্ধার করল পুলিশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১০ জুলাই ২০২৫
বিদেশে কাজের স্বপ্ন দেখিয়ে কলকাতায় ডেকে এনে অপহরণ করা হল মহিলা, শিশু-সহ গুজরাতের এক পরিবারকে। কানাডায় চাকরি পাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁদে পা দিয়ে বিপদের মুখে পড়েন তাঁরা। টানা ছ’দিন কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষমেশ তদন্তে নেমে বুধবার তাঁদের উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তরা পলাতক।
পুলিশ সূত্রে খবর, অপহৃত পাঁচ জনের মধ্যে রয়েছেন দুই পুরুষ, এক মহিলা ও দুই শিশু। তাঁরা গুজরাতের মেহসানা জেলার বাসিন্দা। এঁদের কলকাতায় নিয়ে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল ভিসা ও কাজের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা। অভিযোগ, কানাডায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ‘অ্যাব্রড ড্রিমস ইমিগ্রেশন’ নামে একটি ট্রাভেল এজেন্সি, যার মূল চালক অভিলাষ নায়েক নামের এক ব্যক্তি।
এই ঘটনার বিষয়ে রবীন্দ্রসরোবর থানায় প্রথম লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিশাল পটেল রজনীকান্ত নামের ২৬ বছর বয়সি এক যুবক। অভিযোগে তিনি জানান, তাঁর বন্ধু যোগেশ কুমার দাভি, যোগেশের স্ত্রী কাজলবেন, বোন, ও দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন অভিলাষের এজেন্সির ডাকে সাড়া দিয়ে। প্রাথমিকভাবে তাঁরা ভিআইপি রোডের একটি হোটেলে উঠেছিলেন। পরে চলে যান দক্ষিণ কলকাতার একটি অন্য হোটেলে।
৩ জুলাই সন্ধেয় বিশালকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেন যোগেশ। শুধু বলেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। কিন্তু কোথায় আছেন তা জানাননি। তারপর থেকেই আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাতেই সন্দেহ হওয়ায় বিশাল সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে বুধবার অপহৃত পাঁচ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। যদিও অভিলাষ নায়েক সহ যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তাঁরা এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আদৌ তাঁদের কোনও চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল কিনা, কোনও অর্থ লেনদেন হয়েছিল কিনা এবং এর পিছনে বড়সড় কোনও প্রতারণা চক্র জড়িত কি না। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তদন্ত সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এই অপহরণের চেষ্টা বা প্রতারণার মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।