• বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটক কেন? মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • ওড়িশা সহ ভিনরাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবিলম্বে মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই কাজের জন্য সচিবের নিচে নন এমন কোনও আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে। ওই আধিকারিক ওড়িশা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব চাইবে। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এই বিষয়ে যাতে দ্রুত শুনানি হয় তার জন্য হাইকোর্টে আর্জি জানানো হয়েছিল।

    বৃহস্পতিবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। বেঞ্চ প্রশ্ন তুলেছে, কেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকে রাখা হয়েছে? কিসের ভিত্তিতে আটক করা হয়েছে? কোনও এফআইআর দায়ের হয়েছে? আটক করার পরে তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? বর্তমানে তাঁরা কোথায় আছেন? এই সকল প্রশ্নের উত্তর ওড়িশার মুখ্যসচিবের কাছ থেকে জানতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ওড়িশার মুখ্যসচিবের জবাব শোনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাংলায় কথা বললে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। মারধর, লুটপাট, হামলা, উপার্জন কেড়ে নেওয়া, পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার মতো অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি ওড়িশায় ১৭ জন শ্রমিককে আটক করে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। দিল্লিতেও ৬ জন পরিযায়ী শ্রমিককে আটক করা হয়েছে। ওড়িশার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের হয়েছে। দিল্লির ঘটনা নিয়ে একই মামলা দায়ের হওয়ার পর দুটি মামলারই দ্রুত শুনানির আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    ওড়িশায় আটক ১৭ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মধ্যে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের বাসিন্দা রয়েছেন। এই নিয়ে সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব ওড়িশার মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখেছেন। তারপর কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিককে ছেড়ে দিয়েছে ওড়িশা প্রশাসন। কিন্তু কতজনকে ছাড়া হয়েছে এবং বর্তমানে কতজন আটক রয়েছেন তা স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি দিল্লিতে আটক হওয়ায় ৬ জনের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সদস্যরা।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)