• কাজ শেষ হলে এনজেপি স্টেশনের নিরাপত্তা বাড়বে বহুগুণ: আরপিএফ
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নিশ্চিত নিরাপত্তার জন্য এনজেপি স্টেশনকে বিশ্বমানের মতো করে সাজিয়ে তোলার কাজ দ্রুত শেষ হোক, চাইছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ। প্রথম থেকেই এনজেপি স্টেশন যেভাবে উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে তাতে প্রতিটি মুহূর্তে ঝুঁকি রয়েছে। স্টেশন চত্বরে দখলদারিত্বের লুকোচুরি খেলা ঝুঁকি আরও বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এনজেপি স্টেশনে নিরাপত্তা রক্ষার দিকটি বরাবরই কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন আরপিএফ আধিকারিকরা। 

    বিশ্বমানের মতো করে এনজেপি স্টেশনকে সাজিয়ে তোলার পর এই ঝুঁকি থাকবে না, নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে দাবি আরপিএফের। স্টেশনকে বিশ্বমানের মতো সাজিয়ে তোলার কাজ জোর কদমে চলছে। চলতি বছরেই প্রখম পর্বের কাজ শেষ হবে বলে আশা রেল আধিকারিকদের। এনজেপি স্টেশনের চারদিক উন্মুক্ত। স্টেশনের দু’দিকে আছে ইয়ার্ড। এতে নিরাপত্তা রক্ষার দিকটি জটিল ও চ্যালেঞ্জের হয়ে উঠেছে বলে জানান আরপিএফের এনজেপি পোস্ট কমান্ড্যান্ট মুকেশকুমার রাজক। তিনি বলেন, এ ধরনের উন্মুক্ত স্টেশনে কে কখন কোথা দিয়ে আসছে, কার কী উদ্দেশ্য সবটা বোঝা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। যে কারণে এনজেপি স্টেশনে নজরদারির কাজে আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হয়। এ ধরনের স্টেশন অপরাধীরা সহজ টার্গেট হিসেবে বেছে নেয়। তার উপর এনজেপি স্টেশন দিয়ে দেশ-বিদেশের পর্যটক, ভিভিআইপিরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। এই স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলের সংখ্যাও বেড়েছে বহুগুণ। সবদিক দিয়েই উত্তর-পূর্ব ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এটি। এ কারণেই জঙ্গিরা অতীতে এই স্টেশনে নাশকতা করেছে। 

    মুকেশকুমার রজক বলেন, উন্মুক্ত স্টেশন হওয়ার পাশাপাশি দখল স্টেশনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করেছে। দখল সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছুদিন বাদে অন্য জায়গায় গিয়ে বসছে দখলদাররা। এই লুকোচুরি খেলায় আমাদের কাজ আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে স্টেশনকে বিশ্বমানের মতো করে সাজিয়ে তোলার কাজ শেষ হলে। তখন স্টেশনের চারদিক ঘেরা থাকবে। সুরক্ষিত হবে গোটা স্টেশন চত্বর। কেউ আর ইচ্ছেমতো স্টেশনেই যাতায়াত করতে পারবে না। প্রতিটি স্তরে থাকবে নজরদারি। অবৈধ দোকানপাটও আর ঘেরার মধ্যে জায়গা পাবে না। স্টেশনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। 

    এদিকে, সম্প্রতি ইয়ার্ডে খালি ট্রেনের কোচে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার পর স্টেশন ও লাগোয়া এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মুকেশকুমার রজক বলেন, কিশোরী ধর্ষণের ঘটনার পর আমরা ইয়ার্ডে নজরদারি বাড়িয়েছি। ইয়ার্ডে প্রতিটি ট্রেনের কোচ আমরা লক করে রাখছি। যখন সাফাই বা প্রয়োজনীয় কাজের দরকার হয় তখনই নজরদারির মধ্যে সেই কোচ খোলা হচ্ছে। কাজ হয়ে গেলে আবার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। 

     ফাইল চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)