‘কলকাতার সরকারকে’ আক্রমণ করে নতুন ভিডিও জীবন সিংহের
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: দিনহাটার সাদিয়ালেরকুঠির বাসিন্দা উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে এনআরসি নোটিস পাঠিয়েছে বিজেপি শাসিত অসম সরকার। এনিয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিংহের একটি ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে। যাতে তিনি নাম না করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করছেন (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বর্তমান)। এই ভিডিও সামনে আসতেই কড়া জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কোচবিহারের স্থায়ী বাসিন্দা উত্তমকুমারকে যখন এনআরসির চিঠি ধরানো হল, সেই সময় এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্যই করেননি কেএলও সুপ্রিমো। যা অবাক করেছে তৃণমূল নেতৃত্বকে। উত্তমকুমারের বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল যেমন প্রচারে নেমেছে, তেমনই অল কামতাপুর স্টুডেন্টস ইউনিয়নও (আকসু) আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। ১৪ জুলাই কোচবিহারে জিএসটি অফিসের সামনে আকসু অবস্থান বিক্ষোভ করবে। এই গোটা ঘটনায় কোচবিহার সহ উত্তরবঙ্গে বিজেপি কার্যত ব্যাকফুটে। তৃণমূল দাবি করেছে, জীবনকে সামনে রেখে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করছে পদ্মপার্টি। কেএলও সুপ্রিমো এখন বিজেপির লিখে দেওয়া স্ক্রিপ্ট পড়ছেন। তিনি এখন কার্যত বিজেপির নিয়ন্ত্রণেই।
ভাইরাল ভিডিওতে নাম না করে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করতে শোনা গিয়েছে জীবনকে। তিনি বলেছেন, বহিরাগত কলকাতার সরকার আমার জাতি, মাটির সরকার নয়। কোচ-কামতাপুরীদের উপর ব্যাপকহারে লুটপাট চালাচ্ছে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ করিয়ে রাজবংশীদের সংখ্যালঘু করে দিচ্ছে। পাল্টা জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, জীবন সিংহ এখন বিজেপি, অমিত শাহ এবং পিএমও নিয়ন্ত্রিত।
তৃণমূল নেতা পার্থপ্রতিম রায়ের কথায়, পঞ্চায়েত নির্বাচন, লোকসভা ভোটের আগে উনি (জীবন সিংহ) ভিডিও বার্তা ছাড়েন। কথায় কথায় কোচ-রাজবংশী-কামতাপুরী মানুষের ঐক্যের কথা বলেন। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন। অসম সরকার উত্তমকুমার ব্রজবাসীকে এনআরসি নোটিস পাঠিয়েছে। অসম সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করলেন না তিনি। আসলে বিজেপির এজেন্ট হয়েছেন। রাজবংশী মানুষ বুঝতে পারছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে এনআরসি লাগু করে অনুপ্রবেশকারী বলে তাঁদের ভাগিয়ে দেবে।
যদিও বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, জীবন সিংহ কোথায় আছেন, তা আমাদের জানা নেই। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করছে। বিভ্রান্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। রাজবংশীদের কোথাও যেতে