• জাল আধারকাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও দুই সন্দেহ বাংলাদেশিদেরও নথি তৈরি করত তারা
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কান্দি: ভরতপুরের আধারকার্ড কাণ্ডের জাল বহুদূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে ধারণা পুলিসের। ভরতপুরের অবৈধভাবে আধারকার্ড তৈরির ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে পুলিস বুধবার রাতে বড়ঞা থানা এলাকা থেকে আরও দুই যুবককে গেপ্তার করেছে। তারাও বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ আধারকার্ড তৈরি করে দিত। ধৃতরা হল বুদ্ধদেব বাগদি ও বিল্লাল হোসেন। বিল্লালের বাড়ি বড়ঞা থানার সুন্দরপুর ও বুদ্ধদেবের ওই থানারই মহুরাকান্দিতে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।

    প্রসঙ্গত, গত ৭ জলুাই সোমবার ভরতপুর থানার গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে অবৈধভাবে আধারকার্ড তৈরির জন্য দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা হল গোবিন্দপুর গ্রামের একটি কাস্টমার সার্ভিস সেন্টারের মালিক ইনামুল শেখ ও বড়ঞা থানার বধূয়া গ্রামের যুবক নিয়াত শেখ। নিয়াত নকল অ্যাকাউন্ট ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে আধারকার্ড তৈরি করছিল। পরদিন ধৃতদের কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক উভয়ের পাঁচদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেন। ওই কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার থেকে শতাধিক অজানা পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ফাঁকা প্যাড ও নকল স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়। এছাডাও আরও কিছু জরুরি কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। যার বিবরণ তদন্তের স্বার্থে পুলিস প্রকাশ করেনি। এসব দেখেই পুলিসের নজর অন্যদিকে ঘোরে। ধৃতরা অবৈধভাবে বাংলাদেশিদের আধারকার্ড করে দিত কি না, সেই প্রশ্ন জাগে।

    এরপর ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে বুধবার রাতে ভরতপুর থানার পুলিস আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পরে যে দুজনকে গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা একইভাবে নকল আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে অবৈধ আধারকার্ড তৈরি করত।

    তবে অবৈধ আধারকার্ড কাণ্ডে আরও অনেকে যুক্ত রয়েছে বলে পুলিস মনে করছে। পুলিসের বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জাল আধারকার্ড চক্রটি জেলাজুড়ে কাজ করছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে এরা কাজ করে চলেছে। সীমান্তবর্তী এলাকাতেও এরা সক্রিয়। যদি তা-ই হয়, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জাল আধারকার্ড বানিয়ে দেওয়া এদের কাছে জলভাত। পুলিস তদন্ত আরও গভীরে নিয়ে যেতে চাইছে। কান্দি এসডিপিও শাশ্রেক আম্বারদার জানান, ভরতপুরের অধৈভাবে আধারকার্ড তৈরির ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)