কোয়ার্টার খালি করাতে বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ কাটল রেল
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: টিটাগড় স্টেশনের সামনে চার নম্বর রেল লাইনের ধারে কোয়ার্টার খালি করতে রেলের ‘অমানবিক’ পদক্ষেপ। রেল কোয়ার্টারের বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করতে কেটে দেওয়া হয়েছে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ। এর জেরে গত কয়েকদিন ধরেই চরম বিপদে রয়েছেন কোয়ার্টারের বাসিন্দারা। একপ্রকার বাধ্য হয়ে টিটাগড় স্টেশন সংলগ্ন চার নম্বর রেল কলোনির বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন। পূর্ব রেলের পক্ষে সিপিআরও দীপ্তিময় দত্ত জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে রেলের কোয়ার্টারে এঁরা বসবাস করছেন। কিন্তু কেউই বৈধ বাসিন্দা নন। বিনা কারণে রেল জলের লাইন বা বিদ্যুতের সংযোগ কাটবে না। বাধ্য হয়েই কাটতে হয়েছে। কোয়ার্টার ছেড়ে উঠে যাওয়ার জন্য আগেই এঁদের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রেল কলোনিতে দুশোরও বেশি মানুষের বাস। তাঁদের অভিযোগ, জল ও বিদ্যুৎহীন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা! দিন সাতেক আগে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল। সদ্য কেটে দেওয়া হয়েছে জলের লাইন। কোয়ার্টার খালি করার জন্য রেল এই ধরনের পদক্ষেপ করেছে। তারপর থেকে কোয়ার্টারের আবাসিকরা স্নানের জল তো দূরঅস্ত, পানীয় জলও পাচ্ছেন না। অনেকের বাড়িতে রোগী রয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তাঁরাও। জল কিনে খেতে হচ্ছে। অন্ধকারেই কাটছে রাত। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার রেল কলোনির বাসিন্দারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাঁদের অভিযোগ, প্রথমে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। তারপর জলের সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতির জন্য রেল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা দায়ী করেছেন। এদিকে রেলের এই কাজের পিছনে বড় চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছেন বারাকপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুরেন্দ্র ভার্মা। তিনি বলেন, ‘এই সব কোয়ার্টার ভেঙে জমি বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই রেল চক্রান্ত করে জল ও বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। রেল এ কাজ করতে পারে না। এনিয়ে আমরা সর্বস্তরের আবেদন জানিয়েছি। রেলের তরফে কোনও সাড়া পাইনি। আগামীতে আমরা এ নিয়ে বড় আন্দোলনে যাব।’ বেসরকারি সংস্থাকে জমি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা অবশ্য রেল মানতে চাইনি।