জগদ্দলের বাড়িতে ঘাঁটি, কাজের টোপে পাচার কাণ্ডে গ্রেপ্তার ২
বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিদেশে চাকরির টোপ দিয়ে মানব পাচারে অভিযুক্তরা ঘাঁটি গেড়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে। সেখানকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস খুলেছিল হরিয়ানার একটি ট্রাভেল কোম্পানি। তাদের এই কারবারে হাত মিলিয়েছিল ওই বাড়ির মালিক সমীর দাস। ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের এখান থেকে বিদেশে পাচারের পাশাপাশি আটকে রেখেও চলত টাকা আদায়। ইতিমধ্যে তারা সমীর দাস ও যোগেশ্বর কামাথ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে রবীন্দ্র সরোবর থানা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
গুজরাতের পাঁচ বাসিন্দাকে কলকাতায় নিয়ে এসে পাচারের তোড়জোড় চালাচ্ছিল চক্রটি। তার আগেই বুধবার সকালে রবীন্দ্র সরোবর থানা তাঁদের উদ্ধার করে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পারে, গত ৩ জুলাই রবীন্দ্র সরোবর এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে তাঁদের জগদ্দলের ‘সেফ হাউস’-এ নিয়ে যায় এক ট্যাক্সিচালক। সেখানে কয়েকদিন রাখার পর ৯ জুলাই রাতে তাঁদের বিমানবন্দর লাগোয়া হোটেলে নিয়ে আসে ওই ট্যাক্সিচালকই। মোবাইলের সূত্র ধরে গাড়ির চালক যোগেশ কামাথকে বুধবার ভোররাতে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তাকে জেরা করে জানা যায়, কানাডায় চাকরির টোপ দিয়ে গুজরাত থেকে যে পাঁচজনকে আনা হয়েছিল, তাদের রাখা হয়েছিল জগদ্দলে সমীর দাসের বাড়িতে। এরপর পুলিস বৃহস্পতিবার ভোরে সেখানে হানা দিয়ে সমীর দাসকে গ্রেপ্তার করে।
দুই অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিস আরও জানতে পেরেছে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের মাধ্যমে ওই কোম্পানির সঙ্গে সমীর দাসের পরিচয় হয়েছিল। সমীরের বাড়িতে জাল ভিসা তৈরির কাজও চলত। ‘চাকরিপ্রার্থী’রা বিদেশে পৌঁছে সেখানকার এজেন্টদের হাতে গিয়ে পড়ত। তাছাড়া, বিদেশে পাঠানোর আগে ভিন রাজ্যের বাসিন্দাদের জগদ্দলের বাড়িতে আটকে রেখে মারধর করেও বাড়তি টাকা নেওয়া হতো। এভাবে তারা কতজনকে পাচার করেছে, জানার চেষ্টা চলছে।