• রাজ্যের বকেয়া নিয়ে পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠকে সরব চন্দ্রিমা, সিডব্লুসির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ অমিত শাহ
    বর্তমান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যে রাজ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং সেই সংক্রান্ত কাজের নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (সিডব্লুসি) বাংলায় বন্যা ঠেকাতে ডিভিসির অধীনস্থ বাঁধগুলির ড্রেজিংয়ের প্রয়োজনীয়তা থেকে শুরু করে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলাধারের নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একাধিকবার সিডব্লুসির দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। জমা দেওয়া হয়েছে একাধিক নথি। তা সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি। বৃহস্পতিবার রাঁচিতে বসেছিল পূর্বাঞ্চল পরিষদের বৈঠক। সেখানে বাংলার পাশাপশি ঝাড়খণ্ডের তরফ থেকেও সিডব্লুসির বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠে আসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সামনে। সূত্রের খবর, তার পরেই সিডব্লুসি কর্তৃপক্ষের কাজকর্ম নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

    রাজ্যের তরফে এই বৈঠকে যোগ দেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং অর্থসচিব প্রভাত মিশ্র। উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে সরব হন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। কয়েকবছর আগে প্রকল্প বন্ধ হয়ে গেলেও এখনও ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন ওয়েলফেয়ার ফান্ডের প্রায় ২,৩৩০ কোটি টাকা রাজ্যকে দেয়নি কেন্দ্র। ২০১১ সালের আগে এই খাতে রাজ্যকে ৮৭৫০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। পরবর্তীকালে এর মধ্যে মাত্র ৬,৪০০ কোটির কিছু বেশি টাকা পেয়েছে রাজ্য। তবে একাধিকবার এই টাকা চাওয়া হলেও তা দিতে গা করেনি কেন্দ্র। তার বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার এই ন্যায্য প্রাপ্য দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন তিনি। 

    এই বৈঠকে বন্যানিয়ন্ত্রণ, সীমান্তসুরক্ষা এবং আন্তঃরাজ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। সীমান্তসুরক্ষা নিয়ে বিএসএফের তরফে রাজ্যকে জমি চাওয়া হয়েছে। তারও ৯৫ শতাংশ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। একথাও তুলে ধরেছেন চন্দ্রিমা।
  • Link to this news (বর্তমান)