• এক টাকায় জমি দিচ্ছে রাজ্য, প্রতিটি জেলায় শপিংমল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • বৃহস্পতিবার আলিপুরে চর্ম ও কুটির শিল্পকেন্দ্র ‘শিল্পান্ন’-র উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন যে, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় একটি করে শপিং মল  তৈরি করা হচ্ছে। রাজ্যের ২৩ জেলার সদর শহরে শপিংমল তৈরি করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। তার জন্যে জমির ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। সেই জমি মাত্র এক টাকায় দেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, ‘জেলার হেড কোয়াটারে শপিংমল করছি। এক টাকায় জমি দেব।’ তবে শপিংমল তৈরির ক্ষেত্রে শর্ত বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যত বড়ই শপিংমল তৈরি হোক না কেন, দুটি ফ্লোর রাজ্য সরকারকে দিতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলারা যাতে তাঁদের তৈরি জিনিসপত্র সেখানে বিক্রি করতে পারেন। রাজ্য সরকার তার ব্যবস্থা করবে।’

    মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘যাঁরা শপিংমল বানাবেন, তাঁদের জন্য একটাই শর্ত, দুটি ফ্লোর আমার চাই। বাকিটা আপনারা সিনেমা হল, কফি হাউস, যা খুশি করুন। আপনারা ছ’তলা, সাততলা বা আটতলা, যতবড় শপিংমল বানান, আমার দেখার দরকার নেই। কিন্তু দুটি ফ্লোর আমার চাই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের জন্য।’

    এদিন আলিপুরে ‘শিল্পান্ন’র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ‘শিল্পান্ন’-এ শাড়ি এবং চামড়ার জিনিসের দোকান থাকবে। মোট স্টল থাকবে ৪৬টি। তিনি বলেন, চর্মশিল্পে বাংলা ভারতের মধ্যে এক নম্বরে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও এক নম্বরে বাংলা। রাজ্যে ৬৬০টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্লাস্টার তৈরি করা হয়েছে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, বাংলায় কী কী হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছুটা বিস্তৃতভাবে জানান। তিনি বলেন, ‘মহিলারা বাইরে গেলে চামড়ার ব্যাগ কিনতে পছন্দ করেন। বাইরে যে ব্যাগের দাম ৩০-৪০ হাজার টাকা, এখানে সেটাই তিন হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন।’

    তিনি বাংলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের প্রশংসা করেন। অনেকবারই তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য নতুন কিছু করা যায় কিনা সেটা সব সময় ভাবেন। তা বাস্তবায়িত করার চেষ্টাও করেন। যে কারণে জেলায় জেলায় যে শপিংমল তৈরি হবে, তার দুটি ফ্লোরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা জিনিসপত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও এদিন তিনি আলিপুরের সৌন্দর্যায়নের কথা বলেন। আলিপুরে একটি সাততলার ক্যাম্প অফিস করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তিনি জানান। সেখানে এডিজি আইনশৃঙ্খলা, এসটিএফ চিফ, এসএসকেএম হাসপাতালের প্রিন্সিপালরা থাকতে পারবেন। যাতে কোনওরকম এমার্জেন্সি হলে একসঙ্গে তাঁদের পাওয়া যায়।

    কলকাতাকে ঢেলে সাজাতে গত বছরের শেষের দিকে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রীসভার বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেন, আলিপুর চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে শপিংমল হবে। সেখানে বিশেষভাবে উপকৃত হবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা। এতে উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের  সুযোগও বাড়বে। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় অনেক কিছুই হয়েছে, কিন্তু এখানে একটাই প্রবলেম, শুধু নেগেটিভ ন্যারেটিভ। পজিটিভিটি আর ক্রিয়েটিভিটির ব্যাপারে কেউ কিছু বলে না।’
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)