• রোদের দেখা মিললেও শুক্রবারও একাধিক জেলায় হতে পারে ভারী বৃষ্টি, জানুন হাওয়া অফিসের আপডেট...
    আজকাল | ১১ জুলাই ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ সপ্তাহ খানেক ধরে যে বৃষ্টি চলছিল তা কমেছে অনেকটাই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল, তা সরে গেছে। দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলের দিকে সরে গিয়েছে সেই নিম্নচাপ। এর ফলে বাংলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত কমল। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সপ্তাহভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।শুক্রবার ১১ জুলাই যেমন মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১২ জুলাই শনিবার কোনও জেলায় সতর্কতা নেই। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা কয়েকটি জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৩ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আবার আগামী সপ্তাহে ১৫ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা এবং পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ওই জেলাগুলির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। যদিও সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলির জন্য মৎস্যজীবীদের সাগরে যাওয়ার বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।

    উত্তরবঙ্গেও ধীরে ধীরে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই অর্থাৎ ১৪ জুলাই থেকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে আবার বাড়বে। ১৫ জুলাই জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৬ জুলাই জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৭ জুলাই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। 

    এটা ঘটনা গত বুধবার অবধি দক্ষিণবঙ্গে টানা বৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি একটু কমেছে। শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমবে। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণের জেলায় জেলায়। বিশেষ করে গত সোমবার ও মঙ্গলবার দিনরাত হয়েছে বৃষ্টি। জনজীবন হয়ে পড়েছিল বিপর্যস্ত। কলকাতায় রাস্তায় রাস্তায় জল জমেছিল। যানজট ছিল তীব্র। যদিও সেই জল কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেমেছে। তবে মানুষের ভোগান্তি হয়েছে। তবে ঝড় না হওয়ায় বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

    এরপর বুধবার রাতেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের ওপর থেকে নিম্নচাপ বর্তমানে ঝাড়খণ্ডের দিকে সরছে। বুধবার রাতেই বাংলার ওপর থেকে নিম্নচাপের প্রভাব সরেছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমাঞ্চলের জেলার ওপর থেকেও নিম্নচাপ ক্রমশ সরছে। তার ফলে বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করে। শুক্রবার সকালেও রোদের দেখা মিলেছে।

    তবে বৃহস্পতিবারও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ছিল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানে। এই জেলাগুলিতে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা ছিল। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। 
  • Link to this news (আজকাল)