• জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে TMC নেতাকে কুপিয়ে খুন, অভিযুক্ত আরেক তৃণমূল নেতা
    আজ তক | ১১ জুলাই ২০২৫
  • Malda TMC Leader Death: জন্মদিনের পার্টিতেই রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড। বন্ধ ঘরে নৃশংসভাবে খুন করা হল এক তৃণমূল নেতাকে। ঘটনায় অভিযুক্ত আর এক স্থানীয় তৃণমূল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। মালদার ইংরেজবাজারের লক্ষ্মীপুরের ঘটনা।

    পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম আবুল কালাম আজাদ। তাঁর বন্ধুর বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি চলছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন। অভিযোগ, আচমকা তাঁকে একটি ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন শুরু হয়। বেধড়ক মারধর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক কোপে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আজাদের।

    হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা মইনুল শেখ। একসময় তিনি ইংরেজবাজার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ীও হন। পরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন।

    স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, আজাদ ও মইনুল একসঙ্গে জমি ব্যবসা করতেন। নয় বিঘা জমি ও মোটা অঙ্কের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল তাঁদের মধ্যে। সেই বিরোধ চরমে পৌঁছেই কি এই খুনের পরিকল্পনা? উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগগুলির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।

    মৃত আবুল কালামের বিরুদ্ধেও জমি সংক্রান্ত একাধিক গুরুতর অভিযোগ ছিল বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কখনও জাল কাগজপত্র তৈরি করে জমি দখল, কখনও মৃত দেখিয়ে জীবিত ব্যক্তির জমি হাতিয়ে নেওয়া, নানাবিধ অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সী স্পষ্ট জানিয়েছেন, 'এই ঘটনায় দলের কোনও যোগ নেই। আইন নিজের কাজ করুক। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ হোক।'

    স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের দাবি, জেলা স্তরের একাধিক নেতার সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল মইনুল শেখের। কেউ কেউ তাঁকে ‘জমি মাফিয়া’ বলে দাবি করেন।

    এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই ভাঙড়ে আরও এক তৃণমূল নেতাকে গুলি ও কুপিয়ে খুন করা হয়। নিহত নেতা রজ্জাক খাঁ, বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ ছিলেন বলে দাবি।
  • Link to this news (আজ তক)