• দু’হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর নথি যাচাই করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল থেকে বাদ পড়া কিছু চাকরিপ্রার্থীর নথি যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে, ২১২৪ জন প্রার্থীর নথিপত্র খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে পর্ষদের তরফে। ইতিমধ্যে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছে।

    পর্ষদ সূত্রে খবর, আগামী ২২ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত (রবিবার বাদে) চলবে নথি যাচাইয়ের প্রক্রিয়া। যাচাই করা হবে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, জন্ম শংসাপত্র, টেট শংসাপত্র সহ মোট ১৩ ধরনের নথি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ২০১৭ সালের ১ এপ্রিলের আগে প্রার্থীরা স্কুলে কর্মরত ছিলেন কিনা, তার প্রমাণস্বরূপ বেতন কাঠামোর কাগজপত্র।

    প্রসঙ্গত, ওই প্রার্থীরা ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুলিং’ থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স করেছিলেন এবং ২০২২ সালের প্রাথমিক টিচার নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জানানো হয়, এনআইওএস-এর ডিএলএড ডিগ্রি তৎকালে বৈধ নয়। ফলে তাঁরা প্যানেল থেকে বাদ পড়েন।

    পরবর্তীতে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন জানায়, ২০১৭ সালের ১ এপ্রিলের আগে কর্মরত শিক্ষকরা যদি এনআইওএস থেকে ডিএলএড করেন, তবে সেটি বৈধ হিসেবে গণ্য হবে। সেই যুক্তিতে প্রায় ১২০০ জন প্রার্থীর নথি এর আগে যাচাই করেছিল পর্ষদ। এরপর আরও ২১২৪ জন চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে মামলা করেন। তাদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

    পর্ষদ জানিয়েছে, নথি যাচাইয়ের পর যাঁদের সমস্ত শংসাপত্র সঠিক বলে বিবেচিত হবে, তাঁদের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই উদ্যোগ বহু চাকরিপ্রার্থীর জন্য নতুন আশার আলো জাগাচ্ছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)