• পরীক্ষায় বসতে পারবেন না চিহ্নিত ‘অযোগ্য’রা : ডিভিশন বেঞ্চ
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১১ জুলাই ২০২৫
  • বৃহস্পতিবার, এসএসসির নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া থেকে চিহ্নিত ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের বাদ দেওয়া হবে, এই রায় দিল হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। যে সব অযোগ্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন, তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল করা হবে।

    গত সোমবার হাইকোর্টে সৌগত ভট্টাচার্য রায় দিয়েছিলেন যে নতুন এসএসিসি নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ‘অযোগ্য’ প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসএসসি এবংপশ্চিমবঙ্গ সরকার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় রাজ্য এবং এসএসসির ‘অযোগ্য’দের পাশে দাঁড়ানোর কারণ কী? এসএসসি-র পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, ‘অযোগ্য’দের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তাঁদের সুদসমেত মাইনে ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদের অংশগ্রহণ করতে না দিলে একই অপরাধের দু’বার শাস্তি দেওয়া হবে।

    এসএসসি ও রাজ্যের যুক্তি অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়ায় কারা অংশ নিতে পারবে আর কারা পারবে না তা স্পষ্ট ছিল না।হাইকোর্ট তাঁদেরই অযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছিল যারা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, যাঁদের প্যানেলে নাম ছিল না অথবা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছে। হাইকোর্টের এই রায়কে পরে সুপ্রিম কোর্টও মান্যতা দেয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে একথা স্পষ্ট করে বলা নেই যে অযোগ্যরা নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে এসএসসি ডিভিশন বেঞ্চে যায়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত যুক্তি দিয়েছেন যে, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী অযোগ্যদেরও সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার মৌলিক অধিকার বর্তায়।

    কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য এবং এসএসসি’র কোনো যুক্তিই টিকল না। অযোগ্যরা এসএসসির নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না সিঙ্গল বেঞ্চের এই রায়কেই সমর্থন করল ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। ৩০ মেতে প্রকাশিত এসএসসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)