• রানিগঞ্জে পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে ধস, আতঙ্কে ৫০টির বেশি পরিবার  
    প্রতিদিন | ১১ জুলাই ২০২৫
  • শেখর চন্দ্র, আসানসোল: লাগাতার বৃষ্টির জেরে রানিগঞ্জে পরিত্যক্ত কয়লা খনিতে রেল লাইনের পাশে ধস। শুক্রবার ভোরে চলবলপুর গ্রামে ধস নামে। যে এলাকায় ধস নেমেছে সেখানে রয়েছে পুরনো বসতি। তার জেরে আতঙ্কে বাসিন্দারা। এদিকে ধস নামার এলাকা থেকে রেললাইন মাত্র ৩০০ মিটার দূরে। ফলে এই ধস আরও বড় হলে রেল চলাচল ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা। খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ইসিএলের আধিকারিক ও পুলিশ।

    চলবলপুর গ্রামে রয়েছে ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের বাদকুঠি খনি। যা দীর্ঘদিন থেকেই বন্ধ। সেই বন্ধ খনির সুড়ঙ্গ থেকেই ধস নামে। শুক্রবার ভোর পাঁচটা নাগাদ প্রায় ৪০ ফুট ব্যাসার্ধ এলাকা নিয়ে ৫০ ফুট গভীর ধসে নামে। ধস যে এলাকায় নেমেছে তার আশেপাশে ৫০টিরও বেশি পরিবারের বসাবাস। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা এই অংশে রয়েছেন। আকস্মিক এই ধসের ঘটনায় আতঙ্কিত তাঁরা। এলাকাবাসীদের দাবি ইসিএল কর্তৃপক্ষ কয়লা উত্তোলন করে এই সমস্ত অংশে বালি ভরাট না করার জন্যই ধসের ঘটনা ঘটেছে। এই এলাকা থেকে মাত্র ৩০০ মিটার দূরে রয়েছে মেন রেললাইন। যেখান দিয়ে দূরপাল্লার ট্রেন যাতায়াত করে।

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ইসিএলের আধিকারিকরা। পৌঁছয় রানিগঞ্জ থানার নিমচা ফাঁড়ির পুলিশও। ম্যাপ এনে সরেজমিনে ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা। পরিদর্শনের পর ইসিএলের সার্ভে আধিকারিকদের দাবি, বন্ধ কয়লাখনির উপরের অংশ ধসে গিয়েছে। আসানসোল রেল ডিভিশনের পিআরও বিপ্লব বাউরি জানিয়েছেন, রেল লাইনের নিচে খনির সুড়ঙ্গ নেই। লাইনে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দা এক মহিলা বলেন, “আজ সকালে ধস নেমেছে। পরিবার নিয়ে এখানেই থাকি। রাতে ধস আরও বড় হলে কোথায় যাবো? আতঙ্কে রয়েছি।” ইসিএলের সার্ভে অফিসার পার্থ রায় বলেন, “খবর পেয়ে এসেছি পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যে জায়গায় রেললাইন রয়েছে তার নিচে কোনও সুড়ঙ্গ নেই। ওখানে ধস নামার সম্ভাবনা নেই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)